রবিবার ● ৮ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » শিশু রাজন হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসি
শিশু রাজন হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসি
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যায় মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বিচার শুরুর পর ১৬ কার্যদিবসের মধ্যে রবিবার সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা এই রায় দেন। মূল আসামি কামরুলসহ অপর তিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তাজউদ্দিন বাদল, ময়না, জাকির হোসেন। রায় ঘোষণা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সিলেটের আদালতপাড়ায়। আদালত সূত্র জানিয়েছে, রাজন হত্যা মামলার রায়ের রায়ের মোট ৭৬ পৃষ্ঠা রয়েছে। তন্মধ্যে ৫৪ নম্বর পৃষ্ঠা থেকে পড়া শুরু করে পরবর্তী ২২ পৃষ্ঠা পড়ে শুনানো হবে। রায়ের মোট ২৮১০ লাইন রয়েছে। এর আগে বেলা ১১টা ১৮ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয় মামলার আসামি কামরুলসহ অন্যদের। ১১টা ২৪ মিনিটে তাদেরকে কাঠগড়ায় হাজির করা হয়।
সকাল ৯টা থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করতে দেখা গেছে। মানুষের চাপ সামলাতে জজকোর্টের মূলফটক বাদে সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে রাজনের আইনজীবী শওকত চৌধুরী আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছেন। সকাল ১০টা ২২ মিনিটে রাজনের মা, বাবা ও তার ছোট ভাই আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছেন। এ সময় তাদের সঙ্গে গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই উপস্থিত হয়েছেন। গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে চোর সাজিয়ে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।
এরপর ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২৪ আগস্ট চার্জশিট আমলে নেন আদালত। পরে ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাজন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। হত্যার পর লাশ গুম চেষ্টার অভিযোগে মুহিদ আলম, ময়না চৌকিদার, তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল ও শামীম আহমদের বিরুদ্ধে আলাদা অভিযোগ আনা হয়। গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় রাজন হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। মামলার মোট সাক্ষী ৩৮ জনের মধ্যে ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় আদালতে।
আটলোড : ৮ নভেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : বিকাল ৫.১৫ মিঃ