শনিবার ● ৬ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জলহস্তী দম্পতির নতুন অথিতি
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জলহস্তী দম্পতির নতুন অথিতি
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৩ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৩৫মি.) গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জলহস্তী বাচ্চা প্রসব করেছে।
২ মে মঙ্গলবার পার্কের জলহস্তীর জলাশয়ের পানিতেই শাবকটির জন্ম হয়। শাবকটি পুরুষ না নারী প্রজাতির তা এখনো নির্ণয় করতে পারেনি পার্ক কর্তৃপক্ষ। জন্ম নেওয়া বাচ্চার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দর্শনার্থীদের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান সিএইচটি মিডয়াকে জানান, গর্ভধারণের ৮ মাস পর জলহস্তী বাচ্চা প্রসব করে থাকে। পার্কের জলহস্তীটি গর্ভধারণের ৮ মাস পূর্ণ হওয়ায় তাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে বাচ্চা প্রসবের পর থেকে বেষ্টনীতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাচ্চাটি জন্মলাভের পর মায়ের সঙ্গে পানিতেই থাকছে। বাচ্চার নিরাপত্তায় মা জলহস্তী পাহারা দিচ্ছে ।
তিনি জানান, জলহস্তীর বাচ্চা জন্মের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে পানিতেই থাকে, মায়ের দুধ খায়। শুধু অন্ধকার হলে পানি থেকে স্থলে উঠে আসে। তাই তারাও বাচ্চাটি এখনো কাছে থেকে দেখেননি। তবে পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বাচ্চা সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে। যাতে বাচ্চা পর্যাপ্ত দুধ পায় সেজন্যে মাকে গাজর, মিষ্টি কুমড়া, ভুট্টা, কচি ঘাস খেতে দেওয়া হচ্ছে। বাচ্চাটি মাঝে মধ্যে কিছু সময়ের জন্য ভাসছে। একটু পর পর মাকে জাপটে ধরে পানিতে খেলায় মেতে উঠছে।
তিনি জানান, জলহস্তীর বাচ্চা ছয় মাস শুধু মায়ের দুধ পান করে। পরে আস্তে আস্তে ঘাস, লতা-পাতা ও দানাদার খাবারে অভ্যস্ত হয়। পানিতে থাকার সময় শরীর চকচকে দেখায়। জলহস্তী দেখতে নিরীহ মনে হলেও এ প্রাণীটি রাগ প্রকাশের ধরণটা একেবারে অন্য রকম। রাগলে শরীর ক্রমাগত ঘামতে থাকে। আর সেই ঘামের রঙ লাল। দেখলে মনে হবে শরীর দিয়ে যেন রক্ত ঝরে যাচ্ছে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহাবুদ্দিন সিএইচটি মিডয়াকে জানান, ২০১৫ সালের শুরুতে একটি পুরুষ ও একটি নারী জলহস্তী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়। এ দম্পতির ঘরে শাবকটি জন্ম নিল। ২০১৫ সালের শেষের দিকে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে আরেকটি পুরুষ জলহস্তী এখানে স্থানান্তর করা হয়। নবজাতকসহ সাফারি পার্কে জলহস্তীর সংখ্যা দাঁড়ালো চারে।