বৃহস্পতিবার ● ১১ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » গলাচিপায় স্কুলের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগে মানববন্ধন
গলাচিপায় স্কুলের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগে মানববন্ধন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (২৮ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৩৩মি.) গলাচিপা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখস্থলে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা সমূহ উচ্ছেদের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ব্যবস্থাপনা পর্ষদ, অভিভাবক ও সুধী সমাজের লোকজন মানববন্ধন করেছে।
১১ মে বৃহস্পতিবার সকালে গলাচিপা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখস্থলে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তারা বলেন, স্কুলের জমি দখল করে রাতের অন্ধকারে একের পর এক মার্কেট নির্মাণ করে চলেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এমনকি, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্যামাকান্ত বিশ্বাস নিজেও একটি দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন। এভাবে স্কুলের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে প্রভাবশালীরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ১৯৩২ সালে প্রায় ১৯ একর জমি নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বিদ্যালয়ের সম্মুখে জেলা পরিষদের নাম ব্যবহার করে স্কুলের জায়গায় একের পর এক পাকা ও আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দোকান বসিয়ে টাকা পকেটে তুলছেন। এভাবে স্থানীয় প্রভাবশালীরা লাভবান হলেও বিদ্যালয় তহবিলে কোনো অর্থ জমা দেওয়া হয় না।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফোরকান মিয়া নামে এক ব্যক্তি প্রায় ২০ হাত লম্বা জায়গা দখল করে একটি দোকান ঘর তুলছেন। ইতোমধ্যে ইট দিয়ে দোকান ঘরের দেয়াল গাঁথা শেষ, এখন চলছে টিনের চাল উঠানোর কাজ। অপর পাশে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্যামাকান্ত বিশ্বাস নিজেও একটি দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন এবং তার দোকান ঘরের পাশে শুভাষ ও কালাম মিয়া স্থায়ীভাবে আধাপাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন।
এভাবে স্কুলের জমি দখল করে একের পর এক মার্কেট নির্মাণ করায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, মার্কেট নির্মাণের সময় আমরা বাধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। এখন যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে, এ ব্যাপারে আমি গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছি এবং স্মারকলিপি দিয়েছি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্যামাকান্ত বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দিতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খুব দ্রুত খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।