বৃহস্পতিবার ● ১১ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » সাজেকে খাদ্যসংকট মোকাবেলায় চাল বিতরণ
সাজেকে খাদ্যসংকট মোকাবেলায় চাল বিতরণ
পানছড়ি প্রতিনিধি :: ((২৮ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.২২মি.) খাদ্য সংকট মোকাবিলায় রাঙামাটির দুর্গম সাজেকে পানছড়ি উপজেলাবাসী পক্ষ থেকে ১০০টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করছে পানছড়ি উপজেলার পাহাড়ি ছাত্র ও জন ঐক্য কল্যাণ সমিতি নামে অরাজনৈতিক একটি সংগঠন। পানছড়ি উপজেলার লোগাং বাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুপায়ন চাকমার নেতৃত্বে ১০ মে বুধবার বিকেল ৩টয় সাজেক ইউনিয়নের ৪,৫,৬ ও ৯ নং ওয়ার্ডে এ চাল বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় সাজেক ইউনিয়নের ৪,৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা সুশীলা চাকমা, ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ধনটিলা ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
১০ কেজি চাল পেয়ে ৫নং ওয়ার্ডের শান্তি পাড়া গ্রামের কালিগর চাকমা, ৫নং ওয়ার্ডের নান্টু মুনি চাকমা, বাঙাল্যে চাকমা, মন কিরণ ত্রিপুরা ও মাজলং বাজারের আব্দুল খালেক জানান- প্রতিদিন এক বেলা পেট ভরে ভাত খেয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেক সময় তা ও জোটেনা। আপনাদের দেওয়া চাল দিয়ে আমাদের ৩-৪দিন ভাত খেয়ে থাকতে পারবো। তারা আরো বলেন-এ এলাকায় অধিকাংশ পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। এখানকার মাটিগুলো উর্বরতা কমে গেছে। শুধু কলাগাছ চাষ ছাড়া কোন ফলন হচ্ছেনা। সেজন্য আমাদের আজ এ অবস্থা।
পাহাড়ি ছাত্র ও জন ঐক্য কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি দীপন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক রনেল চাকমা, সদস্য দর্শন চাকমা, হিতোষী চাকমা ও অমর বিকাশ চাকমা বলেন-বিতরণকৃত খাদ্যশস্যগুলো গত ২ সপ্তাহ ধরে পানছড়ি উপজেলা বিভিন্ন প্রত্যস্ত অঞ্চলের দুর্গম গ্রাম থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে সংগ্রহ করেছি। সেগুলো সাজেকবাসীর কাছে বিতরণ করতে পেরে আমরা নিজেকে ধন্য মনে করছি। তাঁরা খাদ্য পিড়ীত দুর্গম সাজেকবাসী জন্য চালসহ বিভিন্ন খাদ্যশষ্য বিতরণ করার জন্য বিভিন্ন এলাকার সচেতন এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থার কাছে অনুরোধ জানান।
এদিকে সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেলশন চাকমার বিরুদ্ধে চাল বিতরণে বাধা প্রদানের অভিযোগ করেন পাহাড়ি ছাত্র ও জন ঐক্য কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি দীপন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক রনেল চাকমা। তাঁরা বলেন- চেয়ারম্যান নেলশন চাকমা আমাদেরকে ধমক দিয়ে বলেছেন চাল বা খাদ্য শষ্য বিতরণ করবেন আমার কাছ থেকে অগ্রিম অনুমতি নেননি কেন? আপনারা বিতরণ করতে পারবেন না। আমার ইউনিয়নের মানুষ না খেয়ে থাকবে তাতে আপনাদের কী ? চলে যান। বিতরণ করতে পারবেন না। এবাবে বিভিন্ন অসৌজন্য ব্যবহার করেন চেয়ারম্যান। আগামীতে নাকি অগ্রিম অনুমোদন না নিলে চাল বা খাদ্যশস্যগুলো চেয়ারম্যান এর বাসায় রেখে আসতে হবে। পরে তিনি বিতরণ করবেন। অগ্রিম অনুমোদ না নেওয়ার কারণে তিনি আমাদেরকে বাঘাইহাটতে ২ ঘন্টা আটকে রাখেন। অনেক অনুরোধের পর আমরা অনুমোদন পেয়েছি। বিতরণ শেষে সে জন্য বাসায় পৌছলে আমাদের খুব দেরী হয়েছে।
তারা আরো বলেন, তিনি শুধু আমাদেরকে ধমক দেননি। তিনি স্থানীয় জন প্রতিনিধিদেরও তাঁর অনুমতি ছাড়া ত্রান বিতরণ না করার জন্য আমাদের সামনে ধমক দিয়েছন। তার অনুমতি ব্যাতিরেখে বিতরণ করা হলে মেম্বারদেরও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে বিতরণকারীরা অভিযোগ করেন।