সোমবার ● ১৫ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » পটুয়াখালীর ১০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ
পটুয়াখালীর ১০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ
হাসান আলী,পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৩৩মি.)নির্মানের পর কোন ধরনের সংস্কার না করায় পটুয়াখালীতে ১০৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন হয়ে পড়েছে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক ভবনের বিমে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে, ছাদের পলেস্তার খসে পড়েছে। ফলে এসব বিদ্যালয়ে আতঙ্কের মধ্যেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ঘোষিত স্কুল ভবন নির্মান না হওয়ায় কোথাও পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে। আবার কোথায়ও পাঠদান চলছে স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত টিনের ঘরে।
পটুয়াখালীর আটটি উপজেলায় রয়েছে ১ হাজার ১৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরমধ্যে ১০৮টি বিদ্যালয় ভবন হয়ে পড়েছে চরম ঝুকিপূর্ন। আর ঝুকিপূর্ন এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান করছে ১৬ হাজার ৮২৮জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ৭টি বিদ্যালয় রয়েছে চরম ঝুকির মধ্যে। ১০৮টি বিদ্যালয়কে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হলেও, প্রকৃত জরাজীর্ণ ভবনের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানায় শিক্ষা অফিস সূত্র।
পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়ায় ৩টি স্কুলের কোন ভবন নেই। আর ৬টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ। গলাচিপায় ৩টি পরিত্যক্ত, ২টি স্কুলে ভবন নেই আর ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ, জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অনুপযোগী। দশমিনায় ১টিতে পাঠদান চলে খোলা আকাশের নিচে আর ১৪টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ। পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় ১টিতে খোলা আকাশের নিচে, ১টিতে টিনের ঘর তৈরি করে পাঠদান হয় আর ৪টি ভবন এতটাই জরাজীর্ণ যে সেগুলো যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে মারাত্ক দুর্ঘটনা। রয়েছে আরো ৮টি জরাজীর্ণ অবস্থায়। বাউফলে ১০টির ভবন ঝুঁকিপূর্ণ আর ১৫টি ভবন রয়েছে জরাজীর্ণ অবস্থায়। মির্জাগঞ্জে ১৫টি আর রাঙ্গাবালীতে ৭টি স্কুলের ভবন জরাজীর্ণ।
জরাজীর্ন এসব স্কুলের পাঠদান চলছে টিনের ঘরে। ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় কোথাও টিনের ঘর তুলে আবার কোথাও খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। কোথাও আবার ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। গলাচিপা ভাইয়ার হাওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন বেগম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চলছে খোলা আকাশের নিচে। রোদে পুড়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করায় প্রায়শই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আবার বৃস্টি হলে পাঠদান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের উপস্থির হার দিনদিন কমছে। অমনয়োগী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী রেবাকা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, রোদে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে গিয়ে তার এখন সব সময় মাথা ব্যাথা হচ্ছে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ অবভাবক মহলও।
পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনের তালিকা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই এসব বিদ্যালয়ের ভবনের কাজ শুরু হবে।