বুধবার ● ১৭ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » বসতভিটা রক্ষা করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর গড়ার দাবি
বসতভিটা রক্ষা করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর গড়ার দাবি
ময়মনসিংহ অফিস :: (৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১১মি) বসতভিটা রক্ষা করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় নতুন শহর গড়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বসতভিটা রক্ষা কমিটির একাংশ।
১৭ মে বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে ঘনবসতি ও বসতভিটা রক্ষায় প্রস্তাবিত নকশা পরিবর্তন করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বসতভিটা রক্ষা কমিটির (চরঈশ্বরদিয়া) যুগ্ম-আহবায়ক হোসাইন নূর মুহাম্মদ (আনির)। বক্তব্য রাখেন চরঈশ্বরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম জাহাঙ্গীর ও সংগঠনের একাংশের আহবায়ক মো. ওসমান গনি। এসময় আবুল কালাম বকুল, জিনাল উদ্দিন জিন্নাহ ও মোশাররফ হোসেনসহ প্রায় অর্ধশত গ্রামবাসি উপস্থিত ছিলেন।
ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বপাড়ে নান্দনিক বিভাগীয় শহর, স্থাপনা গড়ে তোলার পরিকল্পনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ ও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা আনন্দিত ও উৎফুল্ল হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। কিন্তু আমাদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের প্রস্তাবিত নকশায় চার হাজার ৩৩৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হলে ১৭ হাজার পরিবারের ৬০ হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত হতে হবে। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ঠাঁই কোথায় হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রশাসন কর্তক জমির ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করে দেওয়ায় মানুষ জরুরি প্রয়োজনে জমিও বিক্রি করতে পারছে না। অনেকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। অনেকের ছেলে-মেয়ের বিয়ে-সাদী হচ্ছে না। ইহা মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকারের লঙ্ঘণ। এমতাবস্থায় এখানে বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, যা জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রস্তাবিত নকশায় ২৮ হাজার বাড়িঘর, প্রায় পাঁচশ’ পারিবারিক কবরস্থান, ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি হাইস্কুল, ২৬টি মাদরাসা, ১৪টি ঈদগাহ, সাতটি বাজার, ৫০টি মসজিদ, চারটি মন্দির, দু’টি মাজার রয়েছে। এগুলোর কী হবে জানা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে ঘনবসতি এলাকা ও বসতভিটা রক্ষা করে নতুন শহর গড়ার দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান।