শনিবার ● ২০ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বাউফলে স্ত্রীকে বৈদ্যুতিক ছ্যাঁকা দিল বর্বর স্বামী আব্বাস
বাউফলে স্ত্রীকে বৈদ্যুতিক ছ্যাঁকা দিল বর্বর স্বামী আব্বাস
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (৬ জৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩৪মি.) বাউফলের কালিশুরী ইউনিয়নের পোনাহুরা গ্রামে স্ত্রীর নামের জমি স্বামীর নামে লিখে দিতে অস্বীকার করায় দুই সন্তানের জননী গৃহবধুকে বৈদ্যুতিক তাতাল দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ওই মহিলা দুই সন্তান নিয়ে বর্তমানে বাবার বাড়ি আশ্রয় নিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, কালিশুরী ইউনিয়নের পোনাহুরা গ্রামের আবদুল মোতালেব সিকদারের ছেলে আব্বাসের (৩৫) সাথে ১২ বছর আগে একই গ্রামের আবদুর রব হাওলাদারের মেয়ে মুন্নীর(২৬) বিয়ে হয়। আব্বাস এলাকায় ইলেকট্রিসিয়ানের কাজ করে। বিয়ের পর বছর তিনেক ভালোই চলছিল। এরপর ব্যবসা করার জন্য আব্বাস শশুরের নিকট থেকে দুই লাখ টাকা এবং জমি লিখিয়ে আনার জন্য মুন্নীর ওপর নির্যাতন শুরু করে। মুন্নী এতে রাজি না হলে তাকে বৈদ্যুতিক তাতাল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছ্যাঁকাও দেয়া হয়। নিরুপায় হয়ে মুন্নীর বাবা তার নামে ১৫ শতাংশ জমি লিখে দেয়। ওই জমিতে শশুরের আর্থিক সহায়তা নিয়ে একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে আব্বাস। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি আব্বাস। ২০১৫ সালে মুন্নীকে মারধর করে হাসপাতালেও চিকিৎসা করাতে হয়েছে মুন্নীর বাবার খরচে। ওই ঘটনায় পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলাও করা হয়েছে। ওই মামলা এখনো চলমান। সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল মুন্নীকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়। আব্বাস মুন্নীকে সাফ জানিয়ে দেয়, তার নামের ১৫ শতাংশ জমিসহ শশুর থেকে আরো ৫ শতাংশ জমি তার নামে লিখে এবং ব্যবসা করার জন্য ২ লাখ টাকা দিতে হবে, অন্যথায় তালাক দেয়া হবে।
এ নিয়ে বারাবারি করলে প্রাণে মেরে ফেলবে। ১৫ এপ্রিলের পর থেকে মুন্নী তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। মুন্নী বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বরদের কাছে গিয়েও বিচার পায়নি। আমার নামের জমি এবং ওই জমিতে আমার বাবার টাকায় নির্মাণ করা বাড়িতে এখন আমি সন্তানদের নিয়ে থাকতে পারছিনা। এবিষয়ে জানতে চাইলে আব্বাস সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলা করার পর মুন্নীর সাথে সংসার করা সম্ভব কী না এমন প্রশ্নও তিনি সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধির কাছে রাখেন।