সোমবার ● ২২ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » বাউফলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম নেই
বাউফলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম নেই
হাসান আলী,পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (৮ জৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৩২মি.) দেশের উচ্চ আদালত থেকে গত ৯মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করার পর দেশের অনেক স্থানের মত বাউফলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এ সুযোগে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে বাল্য বিয়ে, ইভটিজিংয়ের মতো সামাজিক অপরাধ এবং গাঁজা-ইয়াবাসহ মাদকের রমরমা বাণিজ্য ও ব্যবহার। এমন কি সরকারি খাস জায়গা দখল প্রতিরোধে নেই কোন নজরদারি। অবশ্য, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে ২ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করলেও উপজেলা কিংবা জেলা পর্যায়ের নির্বাহী ক্ষমতার কর্মকর্তারা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
আসন্ন রমজানে দ্রব্য সামগ্রীর মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণসহ অন্যান্য সামাজিক অপরাধ কাদের মাধ্যমে কতটুকু নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, সেটা নিয়ে জণসাধারনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ২০১৫ সালে ৫৪টি, ২০১৬ সালে ১১৬টি এবং ২০১৭ সালের ৮ মে পর্যন্ত ৩৪ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। ওই আদালতের মাধ্যমে ৪৬৮টি মামলা, ১৪০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ১০ লাখ ৩১ হাজার ৮৭০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো বেশিরভাগই মাদক নিয়ন্ত্রণ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, মটরযান নিয়ন্ত্রণ, ভেজাল ও মেয়াদোতীর্ণ ঔষুধ বিক্রি রোধ, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ এবং পাটজাত পণ্য ব্যবাহারে বাধ্যবাধকতার ওপর করা হয়েছিল। কিন্তু উচ্চ আদালতের রুলের পর এগুলো নিয়ন্ত্রণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অন্যান্য নির্বাহী কর্মকর্তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছেন।
এরফলে বাউফলের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়িসহ অন্যান্য অপরাধিরা এখন মাথাচারা দিয়ে উঠছে। অপরদিকে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ এবং আসন্ন রমজানে দ্রব্য সামগ্রীর মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে কারা দায়িত্ব পালন করবেন এটা নিয়ে জণসাধারনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এব্যপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহামুদ জামান কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সাধারণ মানুষ মাদক, ভেজাল ও বাজার নিয়ন্ত্রণসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে নজরদারি কিংবা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য সরকারের উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।