বুধবার ● ২৪ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাঙ্গুনিয়াতে প্রবাসী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন এর মহৎ উদ্যোগ
রাঙ্গুনিয়াতে প্রবাসী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন এর মহৎ উদ্যোগ
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :: (১০ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ৪.৪০মি.) রাঙ্গুনিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের সহযোগীতায় উপজেলার পৌরসভার দক্ষিণ নোয়াগাঁও ফকিরখীলের জেলেপাড়ার জীবন জীবিকায় পরিবর্তন এসেছে। পূর্বে খাবার পানি পেতে তাদের অনেক কষ্ট পেতে হতো। দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে তাদের কষ্ট করে পানি সংগ্রহ করে আনতে হতো। কিন্তু এই প্রবাসীর মহৎ উদ্যোগে গভীর নলকূপে সুপেয় পানি পেল জেলেপাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবারের মানুষ। এভাবে প্রবাসী ইকবালের মহৎ উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়া সহ আশ পাশের বিভিন্ন এলাকায় ২ শতাধিক নলকূপ স্থাপিত হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার পৌরসভার ফকিরখীলের জেলেপাড়ার মানুষ অত্যন্ত হতদরিদ্র। এই এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবারের মানুষের সুপেয় পানির অভাব দীর্ঘদিনের। সুপেয় পানি পেতে তাদের পাশ্ববর্তী কর্ণফুলী নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে তা ফুটিয়ে কিংবা দূরের এলাকা থেকে পানি নিয়ে খেতে হতো। এভাবে সামান্য সুপেয় পানির অভাবে তাদের জীবন জীবিকায় গভীর সংকটে ছিলো। কিন্তু তাদের এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এলেন উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সাহেব নগর এলাকার সৌদিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। তিনি তার এককব্যক্তি উদ্যোগে হতদরিদ্র জেলে পাড়া এলাকায় প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে একটি গভীর নলকূপ বসিয়ে দিলেন। এতে এলাকার মানুষের জীবন জীবিকায় পরিবর্তন এসেছে। এখন তাদের নদীর পানি ফুটিয়ে কিংবা দূর থেকে পানি এনে খেতে হয় না। নিজস্ব নলকূপেই এখন তাদের সুপেয় পানির অভাব দূর হয়েছে। এভাবে প্রবাসী ইকবালের আর্থিক অনুদানে রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর, রাজানগর, দক্ষিণ রাজানগর, রাউজান ও রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক নলকূপ স্থাপিত হয়েছে।
এছাড়াও এসব এলাকার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা, সামাজিক ও বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে তার আর্থিক অনুদান প্রদান অব্যহত রয়েছে। জেলেপাড়া এলাকার কাওয়াল শিল্পী উত্তম কুমার কুমার দাশ জানান, ‘নলকূপ পেয়ে অত্র এলাকার মানুষের জীবন জীবিকায় পরিবর্তন এসেছে। নদীর পানি কিংবা দূরের নলকূপের উপর এখন আমাদের নির্ভর করতে হয় না। আমরা নিজেদের নলকূপেই এখন আমরা আমাদের পানির অভাব মিটাতে পারছি।
এভাবে এলাকার সমস্যা সমাধানে প্রবাসী ইকবালের মতো সকলে যদি এগিয়ে আসে তবে সুখের জনপদে পরিণত হবে আমাদের রাঙ্গুনিয়া।’প্রবাসী মো. ইকবাল হোসেন ২৪ মে বুধবার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ‘মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার শিক্ষা আমার পারিবারিক ভাবেই প্রাপ্ত। তিনি বলেন আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার বড় ভাই মরহুম শহীদ জিল্লুর রহমান ভান্ডারী বাবার মতো করে আমাদের আগলে রেখেছিলেন। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে হত্যার পর মাথার উপর থেকে ছায়া সড়ে গেলেও তাদের দেওয়া শিক্ষাকেই আকড়ে এখনও মানুষের দুর্দিনে পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি’।