বৃহস্পতিবার ● ২৫ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » হরিপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৫০: সালিশ বৈঠকে সমঝোতার চেষ্টা
হরিপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৫০: সালিশ বৈঠকে সমঝোতার চেষ্টা
সিলেট প্রতিনিধি :: (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৪৪মি.) সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ ছাত্রের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শালিস বৈঠকে ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্র ও ইউপি সদস্য সহ আহত ৫০। সমঝোতার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে এবং শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
বিদ্যলয়ের হল রুমে ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ফেরার পথে স্কুল গেইটে ২ গ্রামের লোকজন পূর্বের ঘটনার সূত্র ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একই সময় হেমু হাউদ পাড়া শ্যামপুর গ্রামের সহযোগি হয়ে তারা সম্মিলিত ভাবে জাপিয়ে পড়ে হেমু তিন পাড়া গ্রামের ছাত্র ও মুরব্বিদের উপর। এতে ছাত্র ও ইউপি সদস্য পথচারী সহ ৫০জন আহত হয়েছে।
উল্লখ্য, ২৩ মে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় হরিপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই গ্রামবাসীর মাধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গত ২১ মে রবিবার বিদ্যালয়ে ক্লাসে ১০ম শ্রেনীর ২ছাত্র কমর উদ্দিন ও আবু বক্কর সিদ্দিক এর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
আর এই সংঘর্ষের ঘটনা আপোষ নিষ্পত্তির লক্ষে ২৪ মে বুধবার বিদ্যলয়ের হল রুমে ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ফেরার পথে স্কুল গেইটে ২ গ্রামের লোকজন পূর্বের ঘটনার সূত্র ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্র ও ইউপি সদস্য পথচারী সহ ৫০জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েক জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রেরণ করা হয়েছে বলে আহতদের পরিবার সূত্রে জানায়। অন্যরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছে।
আহতরা হলেন উপর শ্যামপুরের গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান, হাউদ পাড়া গ্রামের মাহমুদ হুসেনের ছেলে জুবায়ের আহমদ ও তার ভাই জামাল আহমদ, শ্যামপুরের গ্রামের লতিফ আলীর ছেলে ফখর উদ্দিন, চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের ছেলে ময়নুল আহমদ, ছব্বির আহমদের ছেলে রুহুল আমিন , হাউদ পাড়া গ্রামের মকবুল হুসেনের ছোট ভাই ফখরুল ইসলাম, অন্যান্য আহতদের নাম জানা যায়নি। সংঘর্ষ বন্ধ করতে গিয়ে তিনপাড়া গ্রামের হাজী হাফিজ উল্লার ছেলে ৫নং ফতেপুর ইউপি সদস্য আব্দুল মুতলিব , একই গ্রামের প্রকাশ সেক্রেট্রারীর ছেলে দোলোয়ার হোসেন, হেমু পাখি টিখি গ্রামের তজই মিয়ার ছেলে আবু মিয়া, তিনপাড়া গ্রামের আব্দুল মালিক এর ছেলে মামুনুর রশিদ, হরিপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র জয়নালের ছেলে রাশেল আহমদ, ফখরুল ইসলামের ছেলে আল-আমিন, আবু-বক্কর সিদ্দিক।
ঘটনার সংবাদ উভয় গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষের জন্য ঘটনাস্থলে জড়ো হতে থাকে। সংঘর্ষের জন্য তারা সেল, বল্মম, তীর ধনুক, লাটি সোটা, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেমলেট এবং পাথর ভর্তি ব্যাগ পরিহিত শত শত ব্যক্তির উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। এনিয়ে ২গ্রামবাসীর মধ্যে টান টান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
দ্রুত নিষ্পতির জন্য জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মাহমুদ ঘটনাস্থলে পৌছে সৃষ্ট ঘটনার নিষ্পত্তির লক্ষে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এঘটনাকে নিয়ন্ত্রন এবং শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখার জন্য হরিপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রঙ্গনে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিউল কবির, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. জাহিদ আনোয়ার, সেকেন্ড ইন কমান্ড প্রভাকর রায়ের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন করা আছে ।
অবশেষে ২৫ মে বৃহষ্পতিবার লামাশ্যামপুর হাউদপাড়ার ও হেমু তিন পাড়ার লোকজন আপোষ নিষ্পত্তির জন্য ৫০ লক্ষ টাকা মুচলেখায় সালিশ গনের কাছে সম্মতি দিয়েছে ।