শনিবার ● ২৭ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » গোপালগঞ্জ » শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে রোগীদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের মতবিনিময়
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে রোগীদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের মতবিনিময়
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক),গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.০২মি.) গাজীপুরে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং মানোন্নয়নের লক্ষ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) যৌথ আয়োজনে সেবাগ্রহীতা ও সংশ্লিষ্ট সকলের করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৭ মে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে ওই সভা শুরু হয়ে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলে।
সনাক সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আয়েশ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সৈয়দ মোঃ হাবিব উল্লাহ।
এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ আলী হায়দার খান, সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ কমর উদ্দিন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রণয় ভূষণ দাস, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডাঃ আশরাফুল আলম, সনাক সদস্য মুকুল কুমার মল্লিক, ফাতেমা জোহরা, স্বজন সদস্য মোঃ হাতেম আলীসহ হাসপাতালের সকল ইউনিটের প্রতিনিধি, সনাকের ইয়েস সদস্য এবং হাসপাতাল এর সেবা গ্রহীতাবৃন্দ।
স্বজন সদস্য মোঃ হাতেম আলীর সঞ্চালনায় সভার শুরুতেই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক মুকুল কুমার মল্লিক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রণয় ভূষণ দাস, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডাঃ আশরাফুল আলম।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন পাঠ করেন সনাক, গাজীপুরের এরিয়া ম্যানেজার সৈয়দা সবনম মোস্তারী। উক্ত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের বিষয়গুলোর ওপর উত্তর প্রদান করেন হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সৈয়দ মোঃ হাবিব উল্লাহ। এরপরই অনুষ্ঠানের মূল পর্ব উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় হাসপাতালে সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতারা তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।
সেবা গ্রহিতারা বলেন, হাসপাতালের বিদ্যমান সমস্যা আগের তুলনায় কম। সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে যে সকল দিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন তা হচ্ছে, ডাক্তারদের আচরণগত সমস্যা, কিছু স্টাফের অতিরিক্ত অর্থ আদায়, দালালের সমস্যা প্রকট, এম্বুলেন্সের অতিরিক্ত ফি আদায় ইত্যাদি।
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারি পরিচালক উত্তর প্রদান করেন।
সব শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে পরিচালক ডাঃ সৈয়দ মোঃ হাবিব উল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যে নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু হয়েছে তবে এখনও অনেক কাজ বাকী আছে। আমরা ভাল সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। সেবার মান আরোও বৃদ্ধি পাবে।