সোমবার ● ২৯ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » শিরোনাম » বিশ্বনাথে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ঔষধ, দালাল আটকের জের ধরে হামলা : আহত ২
বিশ্বনাথে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ঔষধ, দালাল আটকের জের ধরে হামলা : আহত ২
মো. আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫৫মি.) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালাল চক্র কর্তৃক অবাদে সরকারি ঔষধ বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি ঔষধ দালালদের হাতে চলে যাওয়ার ফলে বিনামূল্যে সরকারি ঔষধ পাওয়ার সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার গরীব-দুংস্থ সাধারণ জনগণ।
গত শনিবার সকাল ১১টার দিকে অবৈধ ভাবে সরকারি ঔষধ বিক্রিকালে স্থানীয় জনতা হাতে-নাতে শফি আলম নামের এক দালালকে আটক করেন বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে অবহিত করেন। সাংবাদিকরা সেই দালালের ছবি ও সরকারি ঔষধ বিক্রি করার সত্যতামূলক বক্তব্য মোবাইলে রেকর্ড করেন এবং ফেইসবুকে পোস্ট করেন।
ফেইসবুকে বিষয়টি থেকে টনক নড়ে সবার। ভিডিওটি একের পর এক শেয়ার করেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আটককৃত দালাল উপজেলার কাদিপুর গ্রামের আবদুল আহাদের পুত্র শফি আলম। ফেইসবুকে পোস্ট করার জের ধরে দালাল শফি আলম গংরা প্রত্যক্ষদর্শী কাদিপুর গ্রামের আবদুল হক, তার ভাই শানুর আলী ও স্ত্রী জাহিরুন বেগম’র উপর হামলা করে রক্তাক্ত আহত করেছেন।
দীর্ঘদিনধরে সরকারি ঐষধ বিক্রি করে আসার সত্যতা স্বীকার করে দালাল শফি আলম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানায়, সরকারি ঔষধ বিক্রিতে তাদের ৩ জনের একটি চক্র আছে। এছাড়াও আরোও কয়েকটি চক্র ও বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর সাথে (সরকারি ঔষধ) জড়িত রয়েছেন। তার চক্রের অপর সদস্যরা হল- কাদিপুর গ্রামের মকদ্দুছ আলীর পুত্র ইরন মিয়া ও আজিজনগর গ্রামের ইয়াদ আলীর পুত্র লোকমান মিয়া।
এদিকে হামলার ঘটনায় আহত আবদুল হক বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে- উপজেলার কাদিপুর গ্রামের মৃত রহমত আলীর পুত্র আবদুস শহিদ (৩৫), আবদুল আহাদ (৫০) ও আবদুল আহাদের পুত্র উজ্জ্বল মিয়া (৩০), শফি আলম (২৫)।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জালাল হোসেন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, ওর (আটককৃত শফি) কাছে সরকারি ঔষধ ছিল না। তবে বাইরে থেকে ঔষধ নিয়ে এসে এখানে (স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে) বিক্রি করার সময় তাকে ধরা হয়। এরপর আমরা তার (শফি) কাছ থেকে কমপ্লেক্সে আর আসবে না বলে লিখিত নিয়েছি।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম পিপিএম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।