বৃহস্পতিবার ● ১ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » মোরা’র আঘাতে লামা প্রায় ৪ সহাস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত : নিহত ১
মোরা’র আঘাতে লামা প্রায় ৪ সহাস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত : নিহত ১
ওছমান গনি ফরহাদ,লামা প্রতিনিধি :: (১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১.৪২মি) ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে লামায় তিন সহাস্রাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গাছ পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ২ জন। আহতরা হলো, লামা সদর ইউনিয়নের কামরুল (১) ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ক্যসিং থোয়াই মার্মা (৪০)। আহতদের লামা হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নৌ-পথে বাহিরে নেয়ার সময় ক্যসিংথোয়াই মার্মা মারা যায়।
এদিকে লামা-চকরিয়া রোডের দু’পাশের গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। প্রচুর গাছপালা ভাঙার কারণে অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে। লামা গজালিয়া সড়ক ও লামা রূপসীপাড়া সড়কেও একই অবস্থা হওয়ার কারণে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নের। যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ৫-৮ দিন লাগতে পারে বলে জানায় লামা বিদ্যুৎ অফিস এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ। প্রচন্ড বাতাসে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া কাঁচাপাকা বাড়ির লোকজন এখন খোলা আকাশের নিচে। বেশ কয়েক জায়গায় পাহাড় ধস হলেও কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জনসাধারণকে স্ব-উদ্যোগে রাস্তায় উপর ভেঙে পড়া গাছপালা অপসারণ করতে দেখা যায়।
সমগ্র উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে দমকা বাতাসে উপড়ে পড়েছে লাখ লাখ গাছপালা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, রূপসীপাড়া, গজালিয়া, সদর, ফাঁসিয়াখালী, ফাইতং ও সরই ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ কাঁচা ঘরবাড়ি পড়ে যাওয়ায় সাধারণ দরিদ্র মানুষ খোলা আকাশের নিচে আছে। মেম্বার চেয়ারম্যানরা স্থানীয়দের সহযোগীতায় গাছপালা সরিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
রাজস্থিলী ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা স্ব-স্ব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি করছে।