বৃহস্পতিবার ● ১ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক খানা-খন্দে ভরা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক খানা-খন্দে ভরা
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: (১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.০৫মি.) ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক একদিকে বড় বড় খানা খন্দে ভরা। অন্যদিকে মহাসড়কের নাজুক অবস্থা। টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কের কেপেটিং উঠে বড় বড় গর্ত হয়ে খানা খন্দকে জমাট হয়েছে পানি। দূর্ঘটনার আশংকা থাকার পরও যানবাহন করে হাজার হাজার যাত্রী’কে চলাচল করতে হচ্ছে মহাসড়ক দিয়ে। তার উপর আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের সঈদপুর বাজার,দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট নতুন বাজার থেকে শুরু করে পানিউমদা বাজার পর্যন্ত প্রায় ২০কিলোমিটার সড়ক এর বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে টানা বৃষ্টির পানি জমে গর্ত গুলো ভরে উঠেছে। এতে করে গর্তের মাঝে বৃষ্টির পানি জমে থাকার সুবাধে চালকরা বুঝতে পারছেননা কোন স্থানে রয়েছে গর্ত ! এরই কারণে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পাওে বলে ধারনা করছে মানুষ ।
এদিকে মহাসড়কের যাতায়াতের জন্য উভয় দিকে যানবাহন চলাচলের জন্য দুইটি লাইন থাকার পরও একাদিক গর্ত হওয়ার কারণে একটি লাইন দিয়ে দু-পাশের যানবাহন চলাচল করছে । এতে করে উভয় দিকের যানবাহনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের আশংকা করছেন সচেতন মহল । একদিন গাড়িতে করে যাতায়াত করে তিন দিন যায় শরীরে ব্যাথা কমেনা এমন মন্তব্য শত শত যাত্রীদের। প্রায় দুই’মাস পূর্বে নামে মাত্র গর্ত ভরাট করা হলেও অল্প দিনের ব্যবধানে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের উল্লেখিত স্থান । যাত্রীবাহী বাসসহ দেশী বিদেশী পর্যটকবাহী গাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনিয়মের কারনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে বলে দাবী করছেন পথচারী ও সাধারন মানুষ। কেউ কেউ বলছেন বড় বড় ট্রাক.কাভার্র ভ্যান ক্ষমতার অধিক মাল বহন করে চলাচলের জন্যই এই বেহাল অবস্থা। রাস্তা খারাপ থাকায় গাড়িতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে অধিক সময় লাগছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। পথিমধ্যে আলাপ কালে গাড়ি দাড় করিয়ে মিতালী পরিবহনের চালক বলেন, মহাসড়কটির পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। গাড়ি চালানোর সময় শরীরের কিছু থাকে না আর তো এখন রহমতের মাস ।
আবার যাত্রীদের গালাগাল! সব মিলিয়ে মহাসড়কে বিপদে আছি। ঢাকা-সিলেট মহা সড়ক পুনরায় সংস্কার সুষ্ঠ ভাবে কাজ করার জন্য দাবী জানান সর্বস্থরের ভোক্তভোগিরা।