শুক্রবার ● ২৩ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা অপরিহার্য
দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা অপরিহার্য
লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল :: বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা অপরিহার্য। সুষ্ঠু যাকাত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিকভাবে যাকাত আদায় ও বিতরণ করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। বিত্তবানরা ইসলামের বিধি মোতাবেক যাকাত প্রদান করলে তা সমতা ভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়ক হবে। তিনি দেশের করদাতাদের ন্যায় যাকাত প্রদানকারীদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের সনদ প্রদান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, যাকাত প্রদানে আগ্রহী করার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারী উদ্যোগে গণসচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বিত্তবানদের যে সম্পদের অপচয় হয় তা গরীবদের মাঝে বিতরণ করতে পারলে এতোদিনে বাংলাদেশ হতো উন্নত ও সমৃদ্ধশালী একটি দেশ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত সমতা ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদাৎ বরণ করার পরবর্তী দীর্ঘ সময় দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিলো ভূলণ্ঠিত, ফলে দীর্ঘ ৪৬ বছর পর আজো সমতাভিত্তিক উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্যে নিরলসভাবে কাজ করছেন। তিনি সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সততা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, যাকাত প্রদান করলে অবশিষ্ট সম্পদ নিরাপদ ও বরকতময় হয়। ফলে প্রত্যেক ধনী মানুষের ধর্মীয় বিধি-মোতাবেক যথাযথভাবে যাকাত প্রদান করা উচিত। ২৩ জুন শুক্রবার ভোর রাত ৩টা থেকে ৩:৩০মিঃ পর্যন্ত বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচারিত ‘কল্যাণময় সাহ্রী’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক এইচ এম বরকতউল্লার উপস্থাপনায় এই অনুষ্ঠানে তাঁর সাথে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ গুলশান-২ ভোলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সারোয়ার হোসাইন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন শিল্পী শরিফুল ইসলাম।