শনিবার ● ২৪ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বরগুনায় জমিজমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম
বরগুনায় জমিজমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম
বরগুনা প্রতিনিধি :: (১০ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১৬মি.) বরগুনা সদর উপজেলার কেওরাবুনিয়া ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. মহসিন (৩৫)কে ওই একই গ্রামের মৃত চান্দু মাঝির ছেলে মো. রুস্তুম (৪০), জামাই বেল্লাল,বোন জামাই মন্নানসহ ১৮-২০ জন মিলে বাংলা দাও দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ জুন শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে। জানা গেছে গত ৩ বছর যাবৎ জমিজমাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। আর ঘটনার দিন রুস্তুম মহসিনের জমিতে জমি চাষ করতে গেলে বাধা দেয়ায় মহসিনকে রক্তাক্ত জখম করে। এতে গুরুতর আহত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত ডাক্তাররা। এতে মহসিনের বাম হাতে বৃদ্ধাঙ্গুলী কেটে পড়ে যায়। পরবর্তিতে আবারও কোপ দেয়ার চেষ্টা করলে মহসিনের শাহাদাত আঙ্গুলে লাগে। ঘটনাস্থলে মহসিনের স্ত্রী বাঁচাতে গেলে তার গলায় থাকা এক ভরি স্বর্ণের চেইন ও মহসিনের জে-৫ মোবাইল ফোন নিয়য়ে যায়। এতে প্রায় ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এ ব্যপারে আহত মহসিনের ছোট ভাই মোয়াজ্জেন বাদী হয়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১০৯/১৭।
মোয়াজ্জেন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিদিকে জানান মিথ্যা দলিল দিয়ে গত তিন বছর যাবৎ আমাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ করে আসছে। এবং জমির দলিল দেয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা নেয় রুস্তুম আলী। রুস্তুম বিভিন্ন সময় আমাদের এ নিয়ে হুমকিও দিয়েছেন। তাছাড়া কেওরাবুনিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হানিফ মাতুব্বরসহ এলাকার বড় বড় মাপের লোকজন রুস্তুমকে সেল্টার দিচ্ছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন মহসিনের স্ত্রী মহসিনকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর ও স্লীলতা হানির চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে আহত মহসিনের অবস্থা আশংকাজনক।
বর্তমানে মহসিন চিকিৎসারত অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। তাই স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি পরিবারের জোড় দাবী যাতে করে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পেতে পারে এবং ঘটনার পরে আসামী রুস্তুম আলীর দায়ের করা মিথ্যা মামলা থেকে অব্য্হতি পেতে পারে। তার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোড় দাবি আহত মহসিনসহ তার পরিবারের।