মঙ্গলবার ● ২৭ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে ঈদের দিন মহিষের মাংস গরুর মাংস বলে বিক্রি করছে দেখার যেন কেউ নেই
ঝালকাঠিতে ঈদের দিন মহিষের মাংস গরুর মাংস বলে বিক্রি করছে দেখার যেন কেউ নেই
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: (১৩আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১২.২৪মি.) আমাদের দেশের মানুষের মাংসের প্রতি বরাবরই রয়েছে একটা আলাদা আকর্ষণ। তাই বাজারে গিয়ে সামর্থ্যবান অনেকে ভালো মাংসের পেছনে ছোটেন কেউ কেনেন গরুর মাংস, কেউবা ছাগল বা খাসির। তাই বাজারে এই দুই প্রাণীর মাংসই সবসময় চোখে পড়ে। কিন্তু প্রতিদিন যে মহিষ জবাই হচ্ছে, তার মাংস যায় কোথায়? হাতে গোনা কয়েকটি দোকান বাদে বেশিরভাগ বিক্রেতাই (কসাই) তো মহিষের মাংস দোকানে ক্রেতাদের সামনে প্রদর্শন করে গরুর মাংষ বলে এ অসাধু ব্যাবসায়ীরা বিক্রয় করছে অবাদে।
ঝালকাঠি বড় বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মো. উজ্জল ও দীনু সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন,‘বেশির ভাগ ক্রেতা গরু, মহিষ কিংবা খাসির মাংসের পার্থক্য বোঝেন না। বিক্রেতারা যেটা দরিয়ে দিচ্ছে সেটাকে আসল গরু বা খাসির মাংস মনে করে নিয়ে যাচ্ছেন।’ এসময় কয়েকজন ক্রেতার সাথে মাংষ ক্রয়করে নিয়ে যাওয়ার সময় জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন,আমাদের গরুর মাংষ বলে দিয়েছে। আমরা তো জানিনা কোনটা গরুর আর কোন টি মহিষের মাংষ।
অপর এক সাবেক মাংস বিক্রেতা মো. কাউম খান মাংষ চেনার উপায় সম্পর্কে বলেন, ‘মহিষের মাংস লালচে হয়। আর গরুর মাংসে লালচে ভাবটা থাকে কম। গরুর মাংসের মাঝখানে থাকা রেওয়াজের (চর্বি সদৃশ) ভিন্নতা রয়েছে। যেমন ষাঁড়ের রেওয়াজ সাদা, গাইয়ের রেওয়াজ হলুদ, মহিষের রেওয়াজ সাদা। গরুর মাংসে চর্বি বেশি, মহিষের মাংসে কম।’
অনুসন্ধানে জান গিয়েছে,ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার বড় বাজারে মাংস ব্যবসায়ি মো. জসিম উদ্দিন ঈদের বিক্রি করার জন্য দুইটি মহিষ পৌর কসাই খানায় রাত্রে বেদে রাখে। রাত্র সাড়ে ৪টার দিকে জবাই করে ঈদের দিন সকালে ব্যান গাড়ি যোগে দোকানে সাজিয়ে রাখেন ও দোকানের সামনে দুইটি গরু জবাই করে মহিষের মাংষের সাথে গরুর মাংষের দামে ৬শ টাকা করে হুহু করে হরদম বিক্রি করতে দেখা যায়। ক্রেতার বোঝার কোন উপায় নেই কারন,মহিষ দুইটি বাচ্ছা মহিষ হওয়ায় গরুর মাংষের সাতে মিশে গিয়েছে। প্রতিটি গরুর দামের চেয়ে মহিষের দাম ২০-৩০ হাজার টাকা কম মুল্য ক্রয় করে বলে ওই ব্যাবসায়ীরা জানাগিয়েছে। এরকমের প্রায়ই মাসে ৮ থেকে ১০টি মহিষ জবাই করে গরুর মাংষ বলে বিক্রি করে। ঝালকাঠি পৌর সভার স্যানিটারি ইনেপ্টেক্টর থাকলেও তাকে কোন সময়ই কসাই খানায় দেখা যায়নি।