শনিবার ● ১ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঈশ্বরদী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ লুটের মামলা
ঈশ্বরদী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ লুটের মামলা
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (১৭ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১৭মি.) ঈশ্বরদী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টুসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ৪১ লাখ টাকা মূল্যের পুকুরের মাছ ও ঘরে রাখা মাছের খাদ্য লুটের অভিযোগে ৩০ জুন শুক্রবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় এ মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই তালুকদার মামলা রেকর্ডের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লবের দেওয়া তথ্যসুত্রে জানা যায়, অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়ের করা ষড়যন্ত্র মূলক মামলায় গত ১৭ মে তারিখে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল গ্রেফতার হয়। এ সুযোগে ঈশ্বরদী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর নির্দেশে পুকুরের মাছ ও ঘরে রাখা মাছের খাদ্য লুট করা হয়। শহরের পাতিবিল এলাকার ৬ টি পুকুরের প্রায় ২৬ লাখ টাকার মাছ ও ঘরে রাখা ১৫ লাখ টাকা মূল্যের মাছের খাদ্য পর্যায়ক্রমে মেয়রের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে লুট করানো হয়। এ ঘটনার পর গত ১৬ জুন ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব বাদী হয়ে ঈশ্বরদী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টুকে ১ নং আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করেন। এ মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের হোসেন বিশ্বাস ও পৌর যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সানোয়ার হোসেন লাবুকেও আসামি করা হয়েছে। ওসি আব্দুল হাই তালুকদার সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, গত ২৯ জুন মাছ ও খাদ্য লুটের বিষয়টির তদন্ত শেষ হয়। সুষ্ঠ তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় ৩০ জুন রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার বাদী আলাউদ্দিন বিপ্লব অপরাধিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, একজন জন প্রতিনিধি হিসাবে জনগনের জানমাল ও সম্পদ রক্ষায় সহযোগিতা করা উচিত। কিন্তু মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু সেটি না করে নিজে নেতৃত্ব দিয়ে মানুষের সম্পদ লুট করানোর বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক।