শুক্রবার ● ৪ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মানবাধিকার নিশ্চিতের আহবান ওআইসি মহাসচিবের
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মানবাধিকার নিশ্চিতের আহবান ওআইসি মহাসচিবের
উখিয়া প্রতিনিধি :: (২০ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.০৯মি.) রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে মায়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কনফারেন্সের (ওআইসি) মহাসচিব ইউসেফ বিন আহমাদ আল-অথাইমিন। তিনি ৪ আগষ্ট শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনকালীন এ আহবান জানান।
বাংলাদেশ সফরত ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমাদ আল-ওসাইমিন শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার (অনিবন্ধিত) কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত একটি স্কুলে ১৭জন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাথে মিলিত হন। এ সময় তিনি মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে অমানবিক, পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা শোনেন।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে গাড়ি যোগে ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমাদ সরাসরি উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে পরিদর্শনে আসেন। প্রায় দেড় ঘন্টার অধিক সময় ওআইসির মহাসচিব ক্যাম্প পরিদর্শন ও রোহিঙ্গা নারী পুরুষদের সাথে কথা বলেন।
এসময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া র্সাকেল) চাউলাউ মারমা, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. শামশুদ্দোহা, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের সহ বিদেশী দাতা সংস্থা প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং কালে ওআইসির মহাসচিব বলেন রোহিঙ্গা সমস্যা একটি আর্ন্তজাতিক ইস্যু। বিষয়টি জাতিসংঘ এবং আর্ন্তজাতিক ফোরামে তুলে ধরা হবে। তিনি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার সুরক্ষা, তাদের বসবাসের বাসস্থান, খাদ্য-চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আর্ন্তজাতিক রাষ্ট্রসমুহ সহ রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন, মানবাধিকার সংস্থা ভূমিকার কথা গুরুত্বারোপ করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমাদ আল-ওসাইমিন রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া মাধ্যমে নাগরিকত্ব ফিরে দেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানান। তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ধন্যবাদ সহকারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।