বৃহস্পতিবার ● ১০ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » উখিয়ায় সড়ক-সেতুর দূর্দশা
উখিয়ায় সড়ক-সেতুর দূর্দশা
পলাশ বড়ুয়া, উখিয়া প্রতিনিধি :: (২৬ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৪০মি.) সম্প্রতি পাহাড়ী ঢল ও বন্যার পানিতে উখিয়ার ৫টি ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়ক উপ-সড়ক গুলো জনচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বানের স্রোতে ধ্বসে পড়া ব্রীজ কালভার্ট ও সড়ক, উপ-সড়ক গুলোতে বান পরবর্তী দীর্ঘ ১ মাস অতিবাহিত হলেও সংস্কার কাজ শুরু করেনি কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার রাজাপালং, রত্নাপালং, হলদিয়াপালং, জালিয়াপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ এসব সড়ক গুলো সংস্কার না হওয়ায় জনসাধারণের কষ্টের সীমা ছাড়িয়েছে। জনবহুল স্টেশন কোটবাজারের ভালুকিয়া সী-বীচ সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সচেতন মহলের দাবী জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক পথে ভারী যানবাহন চলাচলের উপর বিধি নিষেধ আরোপিত থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন শত শত অবৈধ বালি ও পাহাড় কাটা বেআইনি মাটি পাচারের কারণে সড়ক পথের কালভার্ট সেতু ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে।
চলতি বর্ষা মৌসুমে এসব ভাঙ্গন আরো তীব্রতর হয়ে জনপদ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসব আশংকার কথা তুলে গ্রামবাসী বিভিন্ন সময় প্রশাসনের নিকট অভিযোগও করেছে। জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, কতিপয় প্রভাবশালী মহল গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করে অবৈধ মাটি ও বালি পরিবহনের ফলে সড়কের এ করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
রুমখাঁপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল কবির সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত ১টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজারো অধিক কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের আসা-যাওয়ার মূল রাস্তাটি দুটি ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে নানান সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি তিনি দ্রুত সড়ক দুটিতে গাইড ওয়ালনির্মাণের দাবী জানান।
রাজাপালং ইউনিয়নের বাসিন্দা শিক্ষক মিলন বড়ুয়া জানান, গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী একটি ব্রীজ। পারাপারে সহায়ক ছিলো একটি কাঠের সাঁকো। তাও বন্যার পানিতে ভেঙ্গে অচলাবস্থা। গ্রামবাসীর দুর্দশা দেখার কেউ নেই যেন !
হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম জানান, আঞ্চলিক সড়ক পথে ভারী যানবাহন চলাচলের উপর বিধি নিষেধ রয়েছে। তথাপিও কতিপয় অসাধু ব্যক্তি সড়ক পথে অবৈধভাবে যানবাহন চলাচল অব্যাহত রাখায় সম্প্রতি বন্যার পানিতে সড়ক ও সেতু গুলোর এই দুর্দশা হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী লিটন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, পুরো উপজেলায় প্রায় অর্ধ শতাধিক আঞ্চলিক সড়ক জন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব সড়ক, উপ-সড়কের প্রাক্কলিত বাজেট পেশ করা হয়েছে। বরাদ্ধ হলে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম আরম্ভ করা হবে।
বন্যা পরবর্তী দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও রাস্তা সংস্কার না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা গুলোর সম্ভাব্য বাজেট করে এলজিইডির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রামীণ পর্যায়ের এলজিইডির সকল সড়ক, উপ-সড়কও সংস্কারের আওতায় আছে বলেও তিনি জানান।