সোমবার ● ১৪ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রকৃতি ও পরিবেশ » পায়রার ভাঙ্গনে দিশেহারা কয়েক হাজার বাসিন্দা
পায়রার ভাঙ্গনে দিশেহারা কয়েক হাজার বাসিন্দা
বরগুনা প্রতিনিধি :: (৩০ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩২মি.) সারা বছরই নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কিছুটা পানি বাড়ে। এছাড়াও প্রতি মাসে অমাবশ্যা ও পূর্নিমার সময় নদীতে বাড়ে জোয়ারের পানি। এ সময় প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম।
তখন বন্ধ হয়ে যায় এ এলাকার পরিবার গুলোর রান্নাবান্না, ভাসিয়ে নিয়ে যায় অনেক ঘরের আসবাবপত্র. যথা সময় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয় গর্ভবর্তী মা, শিশু ও বৃদ্ধরা। এমনি এক অবহেলিত গ্রাম বরগুনার তালতলী উপজেলার তেতুলবাড়ীয়া।
বছরের পর বছর এমন ভোগান্তি পোহাচ্ছে নদী ভাঙনের কবলে বেড়িবাঁধের পার্শবর্তী বসবাসরত কয়েক হাজার বাসিন্দার। এ কারনে নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পরে অনেকে ঘড়-বাড়ি ছেড়ে মাথা গোজাঁর ঠাই পেতে চলে গেছেন অন্যত্র।
জানাগেছে, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে উপজেলার তেতুলবাড়িয়ার এ বাঁধটির বেশ কিছু জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরে। সিডরে ভাঙ্গনের পর তেতুলবাড়িয়া বেড়িবাঁধটি দশ বছরেও স্থায়ী ভাবে নির্মান করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর নদীর অনাবরত ভাঙনে বাঁধটিকে আরোও দুর্বল করতে থাকে। এক পর্যায় বাঁধের পাশে থাকা শতশত পরিবার বাড়িঘর ছেড়েছেন।
তেতুলবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন, জয়নাল মিয়া, হারুনুর রশীদ ও আবদুল লতিফ সিএইচটি মিডিয়াকে জানান, এ অঞ্চলের ফসলী জমি লবন পানিতে বার বার প্লাবিত হওয়ায় জমির ফসল নষ্ট হয় প্রতি বছরই। বর্ষা মৌসুমে এলাকাবাসীর হাহাকারে মাঝে মধ্যে বেরীবাঁধের গুরুত্বপূর্ন স্থানে জরুরি মেরামতের কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি কোন দিন। আর সেই কাজের নামেও চলে লুট-পাট। যদি ভালো করে কাজ করা হতো, তাহলে পরিবার পরিজন নিয়ে নদীর তীরে হলেও বাস করা যেত।
ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী জানান, তেতুলবাড়ীয়ার বেড়ীবাঁধটি পায়রা নদীর গর্ভে বিলিনের ফলে এ এলাকায় লবন পানি ঢুকে ফসল নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ ক্ষতি হচ্ছে মানুষের জান ও মালের। ফসলী জমি ও বাড়ীঘর নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় এ এলাকার কয়েকশত লোক অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম মশিউর রহমান জানান, স্থায়ী ভাবে বেড়িবাঁধ নির্মানের জন্য যে পরিমান অর্থ দরকার, সে পরিমান অর্থ বরাদ্দ আসছে না। আর্থিক সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে বরাবরের মতো বেড়িবাঁধ ভাঙার পর ভাংগা অংশে জরুরি মেরামতের বিকল্প নেই।