শিরোনাম:
●   খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান ●   বাড়ির কাছেই মিলছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ●   খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ●   মাটিরাঙ্গায় ট্রাক্টর উল্টে চালক নিহত ●   অদম্য সেরাদের সেরা আইডল অন্বেষণ-২০২৪ শুরু ●   ঘোড়াঘাটে যৌথ বাহিনীর অভিযান অস্ত্রসহ যুবক আটক ●   রাঙমাটি জেলা পরিষদে থেকে আওয়ামীপন্থী সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করার দাবীতে মানববন্ধন ●   ঈশান তালুকদার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে গুরু আচারিয পূজা ও সংঘদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   নবীগঞ্জে মোবাইল চুরির হিড়িক ●   বাংলাদেশ রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিক কারখানায় জনবল সংকট ●   সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যু বার্ষিকীতে মানুষের ঢল ●   মিরসরাইয়ে শান্তিনীড় বৃত্তি পেলো ১১৫ জন শিক্ষার্থী ●   বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই : পার্বত্য উপদেষ্টা ●   বিনা প্রয়োজনে রেললাইন স্টেশন স্থাপনে অর্থ লুটপাট : রেল উপদেষ্টা ●   ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা নির্বাচন কমিশনের পবিত্র দায়িত্ব ●   গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ●   ঘোড়াঘাটে কারাবরণকৃত নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় ●   নবীগঞ্জে পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার ●   নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন ●   আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে দন্ত চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ রোগী ●   যমুনা রেলওয়ে সেতুর দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে : নির্মাণে ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় ●   ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক শামছুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা ●   মিরসরাইয়ে বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন ●   চুয়েটে রিসার্চ বেজড টিচিং-লার্নিং ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাদক ব্যাবসায়ী সহ গ্রেফতার-৫ ●   বঞ্চিত ৪ উপজেলার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ●   রাউজানে যে হাটে বিক্রি হয় মানুষ ●   ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের ৪৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটি গঠিত
রাঙামাটি, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ১৬ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাপরাধী : সংখ্যায় কারা বেশী ?
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাপরাধী : সংখ্যায় কারা বেশী ?
বুধবার ● ১৬ আগস্ট ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাপরাধী : সংখ্যায় কারা বেশী ?

---

সিরাজী এম আর মোস্তাক :: বাংলাদেশে প্রায় ২লাখ তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। তারা মোটা অংকের ভাতা পাচ্ছে। তাদের সন্তান-সন্ততিরা দেশের সকল চাকরিতে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে শতকরা ৩০ভাগ কোটাসুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশের ১৬কোটি জনতা ও লাখো শিক্ষিত বেকার এর চরম মূল্য দিচ্ছে। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের পরও এসংখ্যা দুই লাখ দশ হাজার পেরোয়নি। যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা তালিকা ২লাখই চুড়ান্ত ও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত, সুতরাং বাকী জনতা যুদ্ধাপরাধী কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ। এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণদানকারী ৩০লাখ শহীদের বিষয়টি আরো গুরুত্বপুর্ণ। শহীদগণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত নন। তাদের বংশ ও পরিবারের অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই। অর্থাৎ শহীদগণ মুক্তিযোদ্ধা নাকি যুদ্ধাপরাধী, তা স্পষ্ট নয়। বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানও মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত নন। তিনি যুদ্ধাপরাধীও নন। আশ্চর্য়্যের বিষয় হল, ভারতের লালবই থেকে ৬৬হাজার মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হলেও যুদ্ধকালে ভারতে অবস্থানকারী জাতীয় চার নেতাসহ মুজিবনগর সরকারের বহু নেতা মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত নন। যেমন, খন্দকার মোশতাকের মতো প্রখ্যাত নেতা খুনী ও যুদ্ধাপরাধী। অন্যদিকে বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২তে ইতিমধ্যে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর চুড়ান্ত সাজা হয়েছে। আরো বহু যুদ্ধাপরাধীর বিচার চলছে। উক্ত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে কোনো পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়নি। বরং বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আরো কতো যুদ্ধাপরাধী রয়েছে, তার অন্ত নেই। এ বিচার পৃথিবীর সর্বোচ্চ আদালত তথা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে, তাই এটি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ও সর্বজনগ্রাহ্য। এখন বিশ্বব্যাপী পরিব্যাপ্ত যে, বাংলাদেশে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী ও তাদের প্রজন্ম রয়েছে। তবে তাদের প্রকৃত সংখ্যা স্পষ্ট নয়।
বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নিজেই করে গেছেন, মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাপরাধীর সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের সমাধান। আমরা তাঁর মহান আদর্শ ও চেতনা বর্জন করে শুধু শোকেই মুহ্যমান। তাঁর সময়ে দেশে ছিলনা মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা-শহীদ-যুদ্ধাপরাধী ব্যবধান। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্কের স্থান। দেশে ছিলনা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দাবি করার সাহসী প্রাণ। সন্তান-সন্ততির জন্য মুক্তিযোদ্ধাকোটা তো একেবারেই বেমানান। কতিপয় কুচক্রীর প্রভাবে বঙ্গবন্ধু কথিত দালালদের বিচার শুরু করলেও ১৯৭৩ সালের ৩০ নভেম্বরেই তা বাতিল করেন। শুধু বাতিল নয়, বিচারের সামান্য কাগজও বিনষ্ট করেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী তৎকালিন আইন প্রতিমন্ত্রী ড, কামাল হোসেন এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ। এরপর বঙ্গবন্ধু সুস্পষ্টভাবে দেশের সাড়ে সাত কোটি নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করেন। মাত্র ৬৭৬ যোদ্ধাকে বিশেষ খেতাব দেন। সাতজন শহীদকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেন। এভাবে যোদ্ধা ও শহীদের অনুপাত শিখান। শহীদগণ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বাইরে নন। ৩০লাখ বীর শহীদ ১৯৭১ এর সাড়ে সাত কোটি বীর বাঙ্গালির চেয়ে অধিক মর্যাদাবান। এ মহান আদর্শের ফলে, বঙ্গবন্ধুর সময়ে শহীদ-গাজী নির্বিশেষে দেশের সবাই ছিলেন সমান। তারা যুদ্ধাপরাধী বা অমুক্তিযোদ্ধা নন, আত্মত্যাগী ও বীরের জাতি হিসেবে মহীয়ান।
এখন সব উল্টো। পাকিস্তানিদের পরিবর্তে বাংলাদেশিরাই বিশ্ব আদালতে যুদ্ধাপরাধী স্বীকৃত। মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিষয় বেশি প্রচারিত। যেহেতু বিশ্ববাসী আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত, তাদের কাছে ১৯৭১ এর ইতিহাস সেকেলে ও অতীতরূপে বিবেচিত। ফলে এখন বিশ্বে পাকিস্তানিদের পরিবর্তে বাংলাদেশীরাই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে লান্থিত ও নিগৃহিত। যুদ্ধাপরাধী ইস্যু এখন কতিপয় বা সংখ্যাগত নয়, এ লান্থণা পুরো জাতিগত।
অতএব, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মেকি স্মৃতিচারণ ও লোকদেখানো শোকপালন বাদ দিয়ে আমাদেরকে তাঁর মহান আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭১ এর সাড়ে সাত কোটি বীর বাঙ্গালিকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ-গাজী পার্থক্য দূর করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বর্তমান তালিকাভুক্ত ২লাখ মুক্তিযোদ্ধাগণ বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চারনেতা ও ৩০লাখ শহীদের চেয়ে কখনোই বড় মানের নয়। যেখানে বঙ্গবন্ধু ও লাখো শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নন, সেখানে ২লাখ তালিকা মোটেও সঠিক নয়। তাই বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬৭৬ যোদ্ধা ব্যতিত সকল তালিকা বাতিল করতে হবে। এতে দেশবাসী লাখো বীরযোদ্ধা ও শহীদের পরিবারভুক্ত হবে। বঙ্গবন্ধুর সময়ের মতো ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠিত হবে। দেশে যুদ্ধাপরাধীর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাবেনা। বাংলাদেশিরা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম, আর পাকিস্তানিরা যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত হবে।
শিক্ষানবিশ আইনজীবী, ঢাকা।
[email protected].





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর :  গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর : গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ? বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ?
আগামীতে  কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক
সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে
মহান মে দিবস ও  শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির সংগ্রাম মহান মে দিবস ও শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির সংগ্রাম

আর্কাইভ