বুধবার ● ১৬ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » কাউখালীতে ঝুকিঁপুর্ন ভাবে পাহাড়ের পাদদেশে কয়েকশত পরিবারের বসবাস
কাউখালীতে ঝুকিঁপুর্ন ভাবে পাহাড়ের পাদদেশে কয়েকশত পরিবারের বসবাস
কাউখালী প্রতিনিধি :: (১ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.২১মি.) রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে কয়েকশত পরিবার ঝুকিঁপুর্ন অবস্থায় বসবাস করছেন।
সুত্র জানায়, কাউখালী উপজেলায় চারটি ইউনিয়ন ঘাগড়া, বেতবুনিয়া, কলমপতি ও ফটিকছড়ির প্রায় এলাকার মানুষজন পাহাড়ের উপর এবং পাহাড়ের পাশে, পাহাড়ের পাদদেশে সাধারন মানুষ জন দির্ঘদিন যাবৎ বাড়ি ঘর বাগান সৃজন করে বসবাস করে আসছে।
কিন্তু গত ১৩ জুন মাসে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারনে পাহাড় ধ্বসে এসব এলাকার লোকজনের, গবাধী পশুর, ফলজ ও বনজ বাগানের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। তার মধ্যে পাহাড় ধ্বসে কাউখালী উপজেলার চার ইউনিয়নের মধ্যে অন্তত কমপক্ষে ২২জনের মতো লোক প্রাণ হারান। নষ্ঠ হয় শত-শত একর পাহাড় ও সমতল ভুমির ফসল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে ঘাগড়া ইউনিয়নের রাঙামাটি–চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু পাশে ঘাগড়া কলাবাগান, জনুমা ছড়া,ছেলা ছড়া, হেডম্যান পাড়া,বেতছড়ি, ঘিলাছড়ি, বেতবুনিয়া ইউনিয়নের গোধারপাড় আবুল হোসেন গুচ্ছগ্রাম, রাউজানঘোনা, গজালিয়া পাড়া, কলমপতি ইউনিয়নের সুগারমিল আদর্শগ্রাম, ডাববুনিয়াছড়া, তারাবুনিয়া, মাঝেরপাড়া, পোয়াপাড়া,হাতিমারা ফটিকছড়ি ইউনিয়নের বার্মাছড়ি এলাকা, ক্ষিরাম, চা-বাগান এলাকাসহ প্রায় পাহাড়ি গ্রামগুলির সাধারন মানুষজন ছোট ছোট পাহাড়ের উপর পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড় ঘেষে মাটির ঘর, টিনের ঘর, বেড়ার ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছেন দির্ঘদিন যাবৎ।
কথা হয় বেতবুনিয়ার সামাপ্রু মারমা, সুগারমিলের নিমাপ্রু মো. সুমন, নাইল্যাছড়ির সামিনা মারমা, জাদে, ঘিলাছড়ির সোহাগ তালুকদার, ধন মোহন চাকমা, সাজু মিয়াদের সাথে তাদের সকলের একই কথা পাহাড়ী এলাকায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করি আমরা এখন এই বাড়িঘর ছেড়ে কোথায় যাব? তাছাড়া এই ছোট ছোট ছেলে মেয়ে গরু চাগল হাস-মরগী নিয়ে কোথায় থাকব ? বিগত প্রবল বর্ষন পাহাড়ী ঢলের কারনে সৃষ্ঠ বন্যায় এত ঘরবাড়ি প্রাণহানি লক্ষ - লক্ষ টাকার বাগান গবাধী পশু মারা যাওয়ার পরেও লোকজনের সচেতনতার অভাব পরিলক্ষিত হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে জনসচেতনতা সৃষ্টি লক্ষে লোকজনকে সচেতন করতে প্রশাসন ব্যাপক ভাবে এলাকায় মাইকিং করেন। কিন্তু লোকজন তাতে তেমন একটা সাড়া দিচ্ছেন না বলে অনেকে জানান। এ ব্যাপারে কথা হয় কাউখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার কমল বরন সাহার সাথে তিনি বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজোলায় ব্যাপকভাবে মাইকিং করি পাহাড়ের পাশ থেকে সকল মানুষ জনকে নিরাপদে সরে আসার জন্য কিন্তু মানুষ বিষয়টিকে তেমন একটা সাড়া বা গুরুত্ব দেয়না যার ফলে তখন সমস্যার সৃষ্টি হয়।