মঙ্গলবার ● ২২ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রতিদিন ৩টা সিজার হয় : বাকি রোগী ক্লিনিকে
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রতিদিন ৩টা সিজার হয় : বাকি রোগী ক্লিনিকে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৭ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৪১মি.) ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রতিদিন ৩টা সিজার হয়, বাকি রুগীগুলো ডাক্তাররা সুযোগ বুঝে ক্লিনিকে কৌশলে অনেক টাকার বিনিময়ে সিজার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২২ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের খামারাই গ্রাম থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে এসে সিজারের জন্য ভর্তি হয় শহিদুলের স্ত্রী রুবি খাতুন। তাকে দেখে গাইনি ওয়ার্ডের চলন্তিকা রানী বললেন তাকে তাড়াতাড়ি সিজার করতে হবে। ফরিদপুর নিয়ে জান এখানে সিজার হবে না। উপায় না পেয়ে রুবির স্বামী এখন চেষ্টা করছে ঝিনাইদহের কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা করানর জন্য রুবির স্বামী শহিদুল জানায়, আমার স্ত্রীর প্রথম বাচ্ছা সিজারের এইটা দ্বিতীয় সকালে ব্যাথা শুরু হওয়ার পার আমারা হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমার স্ত্রীর যেহেতু প্রথম বাচ্চা সিজারের সেহেতু তাকে তাড়াতাড়ি সিজার না করালে সমস্যা হতে পারে। তাকে তাড়াতাড়ি সিজার করা দরকার হাসপাতালে অনেকের নিকট যেয়ে কাজ হয়নি। সময়ের আগেই ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। ডাঃ চলন্তিকা রানী বলেছেন হিসাব অনুযায়ী আজকে মোট ৩টা সিজার শেষ হয়ে গেছে। এখন আজকে আর হাসপাতালে সিজার হবে না। এখন উপায় অন্তর না পেয়ে বাধ্য হচ্ছি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করতে। আমি গবির মানুষ প্রায় ১০/১২ হাজার টাকা লাগবে। এই টাকা আমি কোথায় পাব কি হবে আমার আগত সন্তান এবং স্ত্রীর? জনমনে প্রশ্ন উঠেছে ঝিনাইদহের যে ক্লিনিকেই সিজার করুক না কেন। হাসপাতালের ডাক্তারাই তো করবেন। অথচ কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রী নাসিম দাবী করে বলেন যে একমাত্র ডাক্তারাই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে। এ ভাবেই ঝিনাইদহের সদর হাসপাতালের ডাক্তাররা কৌশলে রুগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে বাধ্য করে সেখান থেকে অতিরিক্ত মোনাফা অর্জন করে। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের আর এম ও অপূর্ব কুমার সাহা ও তত্ত্বাবধায়ক আইয়ুব আলীর জানান, গাইনি ইমদাদ ডাক্তার অসুস্থ থাকায় আমাদের হাসপাতালে ডাক্তারের সমস্যা হয়ে পড়েছে। আজ ৩টা সিজার হয়ে গেছে, তাই ওনার সমস্যা আছে বলেই ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। আমাদের এখানে সম্ভব না।