সোমবার ● ২৮ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » সাফারি পার্কে প্রথম হাতির শাবক প্রসব
সাফারি পার্কে প্রথম হাতির শাবক প্রসব
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১৩ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫৯মি.) গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো আবদ্ধ পরিবেশে মা হাতি (মুক্তিরানি) বাচ্চা প্রসব করেছে।
২৭ আগস্ট রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পার্কের এলিফ্যান্ট এভিয়্যারিতে শাবকটির জন্ম হয়। শাবক ও মা সুস্থভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় চলাচল করছে। বর্তমানে নবজাতকসহ পার্কের মোট হাতির সংখ্য ৭টি।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, ৪ বছর আগে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ২টি পুরুষ ও ৪টি নারী হাতি সংগ্রহ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন পরিকল্পিত পরিচর্যার পর বাচ্চার জন্ম হলো। খুব শিগগিরই আরও শাবক জন্ম হতে পারে। নব্য মা হওয়া হাতিটির প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগেই একটি নির্দিষ্ট ঘন জঙ্গলে তাকে উন্মুক্ত করা হয়েছিল। গত রাতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে শাবকের জন্ম দেয় মা হাতিটি। এই হাতিটি ২০১৬ সালের ২১ মে বান্দরবান থেকে আনা হয়েছিল।
২৮ আগস্ট সোমবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মা হাতিটি বাচ্চাকে আড়াল করে রাখতে চাইছে। কেউ কাছে যেতে চাইলেই মা হাতি তেড়ে আসে। প্রচণ্ড রোদে একটি ঝুপে বাচ্চাকে রেখে পাহাড়া দিয়ে রাখছে মা হাতিটি।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণি পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, বর্তমানে মা ও নবজাতককে নিরাপত্তার জন্য দর্শনার্থীদের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
সহকারী বন সংরক্ষক ও বঙ্গবন্ধু সাফরি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক শাহাবুদ্দিন জানান, বাংলাদেশে কোথাও আবদ্ধ পরিবেশে এর আগে হাতির শাবক জন্মানোর ঘটনা ঘটেনি। সাফারি পার্কের হাতিদের থাকার জায়গাটি অত্যন্ত প্রাকৃতিক হওয়ায় সুস্থ ও স্বাভাবিক শাবক প্রসব সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান, হাতিরা গর্ভধারণের পর ২০ থেকে ২২ মাসের মধ্যেই বাচ্চা প্রসব করে। এরা বাচ্চা জন্ম দেয়ার পর তুলনামূলক হিংস্র হয়ে উঠে। জন্মের পর পরই স্বভাবগত কারনে মা হাতি খাদ্য গ্রহণে কিছুটা অনাগ্রহ দেখায়। শাবকের জন্মের পর থেকেই তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে এখনো জানা সম্ভব হয়নি বাচ্চাটি মহিলা না পুরুষ।