মঙ্গলবার ● ২৯ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » উখিয়াতে ৩৮টি বৌদ্ধ বিহারে পুলিশী পাহারা এবং টহল জোরদার
উখিয়াতে ৩৮টি বৌদ্ধ বিহারে পুলিশী পাহারা এবং টহল জোরদার
উখিয়া প্রতিনিধি :: (১৪ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১৯মি.) মিয়ানমার সীমান্তে সহিংসতা অব্যাহত থাকায় উখিয়ার বৌদ্ধবিহার গুলোতে পুলিশি পাহারা এবং টহল জোরদার করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও নজরদারি করছে প্রশাসন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা। ২৮ আগষ্ট সন্ধ্যায় টেকনাফে এ ধরণের মন্দিরে হামলার পূর্বে পুলিশ ধাওয়া করে একদল দুর্বৃত্তকে। এরপর থেকে উখিয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে অজানা আতংক বিরাজ করছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, সীমান্তে সহিংতার কারণে কোন সম্প্রদায়ের মানুষের শংকিত হওয়ার কারণ নেই। সব সময় পুরো দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, সোমবার রাতে মরিচ্যা গুরাইয়ারদ্বীপ আলমগীরের বাড়িতে থেকে এলাকায় আশ্রয় নেওয়া ১ মহিলা সহ ৪ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নাশকতার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে তিনি সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে শংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, সীমান্তে সহিংসতা পরবর্তী ২৮ আগষ্ট সোমবার রাত থেকে রাত্রিকালীন উখিয়ার সব মন্দির ও বিহারে পুলিশের বিশেষ টহল জোরদার করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, মিয়ানমার সহিংতা নিয়ে আমাদের দেশে যেন কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য জনপ্রতিনিধিরা এলাকার লোকজনদের সচেতনতায় কাজ করছে। তাছাড়া প্রতিরাতে পুলিশ প্রশাসন সহ গ্রাম পুলিশের বিশেষ টীম কাজ করছে।
শৈলেরঢেবা চন্দ্রোদয় বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক প্রধান ভদন্ত জ্যোতি কল্যাণ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, প্রতিটি মানুষ কর্মের অধীন।
তাছাড়া অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে আমরা সকলে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছি। আশা করি ভিন্ন আরেকটি দেশের সৃষ্ট সমস্যায় আমাদের দেশে এর কোন প্রভাব পড়বে না।
এছাড়াও তিনি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের জ্ঞানসমৃদ্ধময় সুখী জীবন কামনা করেন।
উখিয়া বৌদ্ধ সুরক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক মেধু কুমার বড়ুয়া সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, উখিয়ায় মোট ৩৮টি বৌদ্ধ বিহার, ভাবনা কেন্দ্র রয়েছে। পুলিশ ও বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে উখিয়ার বিহার গুলোতে। আশা করি তেমন কোন সমস্যার সৃষ্টি হবেনা।