শনিবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » রাঙামাটি হাসপাতাল থেকে ১টা লাশের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন শেষ হতে কতদিন লাগে ?
রাঙামাটি হাসপাতাল থেকে ১টা লাশের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন শেষ হতে কতদিন লাগে ?
রাউজন (উত্তর) প্রতিনিধি :: (১৮ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৫৩মি.) চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলাধীন ১০নং গুজরা ইউনিয়নের পশ্চিম আধাঁরমানিক গ্রামের লাকী রানী বড়ুয়া স্বামী রতন বড়ুয়া গত ২৭ এপ্রিল বৃহ্স্পতিবার সকালে বাবার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাহির হয়।
লাকী রানী বড়ুয়া বাবার বাড়ি একই উপজেলার ৬নং বিনাজুরী ইউনিয়নের পূর্ব ইদিলপুর গ্রামে।
নিহত লাকী রানী বড়ুয়ার পিতা জয়দত্ত বড়ুয়া। বাবার বাড়িতে যাওয়ার পথে সাথে করে প্রতিবন্ধী ভাগিনীকে (নিহতের স্বামীর বড় বোনের মেয়ে) নিয়ে আসে রাউজান সদরে সোনালী ব্যাংক থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা তোলার জন্য। প্রতিবন্ধী ভাতা তুলে দুপুরে জলিল নগর বাসষ্টেশন থেকে নোয়াপাড়াগামী লোকাল সিএনজি অটোরিক্সায় করে আধাঁর মানিক যাওয়ার জন্য প্রতিবন্ধী ভাগীনিকে একা গাড়িতে তুলে দেন এবং লাকী বড়ুয়া বাবার বাড়ি থেকে ২৯ এপ্রিল ২০১৭ শনিবার শ্বশুরবাড়িতে ফেরত যাওয়ার কথা বলেন।
কিন্তু শনিবার শ্বশুরবাড়ি ফেরত না যাওয়ায় রবিবার নিহতের স্বামী রতন বড়ুয়া শ্বশুর জয়দত্ত বড়ুয়াকে ফোন করে লাকী রানী বড়ুয়া ফেরত না আসার কারণ জানতে চান। তখন জয়দত্ত বড়ুয়া বলেন যে তার মেয়ে বাড়িতে আসেননি। তখনই শ্বশুরবাড়ির লোক এবং বারার বাড়ির লোক সবাই জানতে পারেন যে লাকী রানী বড়ুয়া বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ। অনেক খোঁজা-খুঁজি করে না পেয়ে রাউজান থানায় সাধারন ডায়েরি করেন নিহতের স্বামি রতন বড়ুয়া।
৩০ এপ্রিল ২০১৭ রবিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টার সময় রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলাধীন বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মাষ্টার ঘোনা গ্রামে আশিষ সাহেবের পাহাড়ের উপর কড়ই গাছের ডালের সহিত জর্জেড শাড়ীর সাথে ঝুলানো এক লাশ পাওয়া যায়। ১ মে ২০১৭ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বেতবুনিয়ায় এক অজ্ঞাত নারীর লাশ পাওয়া গেছে এই রকম এক সংবাদ পায় নিহত লাকী রানী বড়ুয়া’র পরিবার। খবর পেয়ে লাকীর আত্মীয় স্বজনরা সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বেতবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে যায়। ততক্ষনে লাশ বেওয়ারিশ হিসাবে ময়না তদন্ত করে রাঙামাটি পৌরসভার তত্ত্বাবধানে আসামবস্তির পাশে হিন্দু বৌদ্ধ শশ্মানে দাহ হয়ে যায়। নিহতের পরিবার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া পুলিশ ফাড়িঁতে গিয়ে লাশের ছবি এবং পুলিশের জব্দকৃত আলামত দেখে সনাক্ত করে লাকী রানী বড়ুয়ার লাশ সনাক্ত করে। নিহতের পরিবার এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেছেন ।
গত ১ মে তারিখে লাশের ময়না তদন্ত হলেও আজ চার মাসের ও অধিক সময় পার হলেও রহ্যাসজনক কারনে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন এখনো রাঙামাটি জেলার কাউখালি থানায় এসে পৌছাঁয়নি।
এ ব্যাপারে কাউখালী থানার বেতবুনিয়া ফাড়িঁর ইনচার্জ এসআই মোজাম্মেল হক (যিনি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন) তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তদন্ত প্রতিবেদন রাঙামাটি হাসপাতালে এসে পৌঁছে কিন্তু যিনি দায়িত্বে আছেন সে ডাক্তার বিশেষ প্রশিক্ষণে ঢাকায় অবস্থান করায় এই প্রতিবেদন থানায় পাঠানো সম্ভব হচ্ছেনা। নিহতের পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাঙামাটি হাসপাতাল থেকে একটা লাশের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসতে কত দিন সময় লাগে ?