শনিবার ● ২১ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরের ডিসিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
গাজীপুরের ডিসিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর প্রতিনিধি::
গাজীপুরের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) আদালতের নির্দেশ অবমাননা করায় উচ্চ আদালত কারণ দর্শানো নেটিশ দিয়েছে ৷ উচ্চ আদালতের যৌথ বেঞ্চ বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল আলম কামাল ১৫ নভেম্বর রবিবার এ আদেশ দেন৷ একই বেঞ্চ অনুরুপ আদেশ প্রদান করেন টাঈাইলের জেলা প্রশাসককে৷ আদালতের আদেশের কপি গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসকের নাজির মো. হান্নান৷ তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম শিঘ্রই শুরু করা হবে৷
রিট পিটিশনকারী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ ফরিদ জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া থেকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার গ্যাসের পাইপলাইন প্রকল্পের অনুমোদনের খবর পেয়ে এক শ্রেণীর অসাধু চক্র অধিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় প্রকল্পের ম্যাপ অনুযায়ী ওই জমিতে অস্থায়ী ঘর বাড়ি নির্মাণ করে৷ এর প্রেক্ষিতে ১৭ মে তিনি সরকারের রাজস্ব এবং অপচয় রোধকল্পে উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন৷ পিটিশন শুনানীঅন্তে আদালত ১৮ মে গাজীপুরের ডিসিকে ওইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ স্থাপনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে ত্রিশ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন৷ কিন্তু গত ছয় মাসেও ওইসব স্থাপনা উচ্ছেদপূর্বক আদালতে কোন প্রতিবদেন জমা দেননি গাজীপুরের ডিসি৷ একই অভিযোগে টাঙ্গাইলের ডিসিকেও কারণ দর্শাণোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত ৷
গাজীপুরের শ্রীপুরের অংশে ৪৬টি এবং টাঙ্গাইলের অংশে (সখীপুর উপজেলায়) ২৩টি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে বলে জানান ওই রিট পিটিশনকারী৷ রিটকারী আরো বলেন, জমির মূল্য বাড়াতে ও সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে কোটি কোটি টাকা ফায়দা লুটতেই রাতারাতি ওইসব দূর্বল অবকাঠামো নির্মাণ করেছে একটি অসাধু চক্র ৷
এ ব্যাপারে প্রকল্পের পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিকে জানান, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে মানচিত্র অনুযায়ী যে জায়গা দিয়ে লাইনটি যাবে সেসব জায়গার ভিডিও চিত্র আগেই ধারণ করা হয়েছে৷ অতএব ক্ষতিপূরণ তোলার আশায় ঘর তুলে থাকলে তারা ভুল করেছেন৷ তিনি দাবি করেন, ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এখনো টেন্ডার হয়নি৷
গাজীপুরের ডিসি এসএম আলম এর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি৷