বৃহস্পতিবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » নাইক্ষ্যংছড়িতে সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ৪ গুপ্তচর আটক
নাইক্ষ্যংছড়িতে সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ৪ গুপ্তচর আটক
মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, বান্দরবান প্রতিনিধি :: (৩০ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪৮মি.) বান্দরবান পার্বত জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্ত এলাকা থেকে মিয়ানমারের চার গুপ্তচরকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৩১ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)।
আটকৃতরা হলেন ইউসুফ আলীর ছেলে মো. কালু মিয়া (৬০) বলীবাজার এলাকার তাজমন্নুর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০), মিয়ানমারের আমতলী গ্রামের মৃত নজির আহমদের ছেলে জাফর আলম (৪৫) ও মো. নুরে আলমের ছেলে আজমল হোসেন (৪০)।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র সূত্র জানায় ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঘুমধুম থেকে তিনজন ও ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ থাকায় কৌশলের মাধ্যমে পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানায় সীমান্তের ফুলতলী ঢেকিবুনিয়া সীমান্তের ৪৮নং পিলারের কাছে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাফিরা করার সময় এদের আটক করেছে বিজিবি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র বিভিন্ন তথ্য মিয়ানমারের বিজিপির নিকট পাচার করতো বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়াগেছে।
চার গুপ্তচরকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৩১ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ারুল আযীম বলেন, ওই চার রোহিঙ্গা নাগরিক মিয়ানমারের পক্ষে গুপ্ত চরের কাজ করতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রমাণ পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বান্দরবান শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে বান্দরবান শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে আটক চার গুপ্তচর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। এই চার গুপ্তচর মিয়ানমার সেনাবাহনীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহনী (আর্মি)’র সাথে রোহিঙ্গা হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার কাজে অংশ নিয়েছে। আটকৃত চার জনের হাত দিয়ে কয়েকশ’ রোহিঙ্গা হত্যা করা হয়েছে মর্মে তারা স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। ওই চার রোহিঙ্গা গুপ্তচর আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সেনাবাহিনী রিজিয়নের জিএস টুআই মেজর মেহেদী হাসান জানান, তারা মিয়ানমার আর্মির হয়ে কাজ করছে। তারা মিয়ানমার থেকে অন্যান্য নির্যাতিত সাধারণ রোহিঙ্গাদের সাথে এপারে এসে আশ্রয় নিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অডিও ভিডিওসহ সকল ধরনের তথ্য মিয়ানমার সেনাবাহনী (আর্মি)’র কাছে পৌঁছে দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি আরো জানান, চার গুপ্তচরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।