বৃহস্পতিবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » নিখোঁজ দুই হিন্দু শরণার্থী : আহতবস্থায় ফিরেছে ৮ জন
নিখোঁজ দুই হিন্দু শরণার্থী : আহতবস্থায় ফিরেছে ৮ জন
উখিয়া প্রতিনিধি :: (৬ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১৩মি.) রাখাইনে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা দুই হিন্দু শরণার্থী ৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার থেকে ১০জন হিন্দু শরণার্থী নিখোঁজ হলেও বুধবার পর্যন্ত চার দফায় ৮জন ফিরে আসলেও এ পর্যন্ত আজ বৃহস্পতিবার দুই জন ফিরে আসেনি। উখিয়ার কুতুপালং হিন্দু শরণার্থীদের দায়িত্বশীল সেবক সুজন শর্মা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এ ঘটনা নিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর দুই হিন্দু শরণার্থী নিখোঁজ বলে উখিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদ্বয় হলেন, মিয়ানমারের ছিকনছড়ি এলাকার নিরঞ্জন শীল (৬০), রবীন্দ্র শীল (৫৫)।
ফিরে আসা আহত হিন্দু শরণার্থীরা হলেন, ছিকনছড়ির সুরধনের পুত্র মধু রাম পাল (৩৫), সুরধন পাল, তেজন্দ্র পাল (২৮), অনিল রুন্দ্র, কাজল শীল। বাকীদের নাম পাওয়া যায়নি।
এর মধ্যে আহত অনিল রুন্দ্র, কাজল শীলে অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। বর্তমানে আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত অবস্থায় ফিরে আসা শরণার্থীদের বরাত দিয়ে হিন্দু শরণার্থীদের অপর দায়িত্বশীল বাবুল শর্মা বলেন, মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু শরণার্থীরা রাখাইনে ফেলে ৩৫টি গরু-ছাগল বিক্রির সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার কথা বলে ওপারে একই এলাকার বাসিন্দা অলি উল্লাহ, ইমাম হোছন, নুরুল হক তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তাদের মতে, একটি নদী পার হওয়ার পর চোখ বেধে ফেলে এবং তাদের নির্যাতন চালায় বলে জানায়।
হিন্দু শরণার্থীদের মুখপাত্র ও উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালংয়ের ইউপি সদস্য স্বপন শর্মা রনি বলেন, আশ্রিত ১০ হিন্দু শরণার্থী আমাদের অগোচরে যায়। এর মধ্যে ফিরে আসা ৮জনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারে বাসিন্দা এবং পরিচিত হওয়ার সুবাদে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের খোঁজ নিয়ে দেখতে আসে। পরে ফোন করে গরু বিক্রির টাকা নেওয়ার কথা বলে তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্যাতন করে বলে তিনি জানায়।
নিখোঁজের বিষয়ে নিয়ে হিন্দু শরণার্থীদের দায়িত্বশীল বাবুল শর্মা উখিয়া থানায় নিখোঁজদের বিষয় নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবী করলেও উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের বলেন, নিখোঁজের বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পায়নি। তবে সম্ভাব্য স্থানে পুলিশী অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আহতদের প্রসঙ্গে আরো বিস্তারিত জানার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: পু চ নু’র মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলে রিসিভ না করায় বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।