শুক্রবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মহালয়ার পুর্ণ্যলগ্নে দেবী দুর্গা অাগমন করেছেন মর্ত্যে
মহালয়ার পুর্ণ্যলগ্নে দেবী দুর্গা অাগমন করেছেন মর্ত্যে
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :: (৭ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.২৯মি.) বাজলো ঢাক, বাজলো তোমার আগমনী। পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের শুরু।মা পা রেখেছেন মর্ত্যলোক পৃথিবীতে। মা এবার এলেন নৌকায় চড়ে। মহালয়ায় দুর্গা দেবীর আগমনী বার্তা। বছর ঘুরে আবারও উমা দেবী আসছেন তার বাপের বাড়ি। হিমালয়ের কৈলাশে তার স্বামী শিবের বাস। সেখান থেকেই সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে আসেন সমতল ভূমির এই বাংলায়। সঙ্গে নিয়ে আসেন গণেশ, কার্ত্তিক, লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে। প্রতিবছরের শরৎকালে দেবী দুর্গার এই আগমন হয় নিজ ভূমিতে। হিন্দু শাস্ত্রমতে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এদিন গঙ্গাতীরে প্রার্থনা করে ভক্তরা মৃত আত্মীয়স্বজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার মঙ্গল কামনা করেন। সসাগরা পৃথিবীর অধীশ্বর রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তকালে তিনি এই পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজাও বলা হয়।
শ্রী রামচন্দ্র রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন। তাই শরৎকালের এই পূজাকে হিন্দুমতে অকালবোধনও বলা হয়।এই দিনে দেব-দেবীকুল দুর্গাপূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। মহালয়ার দিন ভোরে মন্দিরে মন্দিরে শঙ্খের ধ্বনি ও শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আবাহন জানানো হয়,দেবীর আরাধনা সূচিত হয় মহালয়ার মাধ্যমে। এভাবেই মর্ত্যলোকে আবাহন ঘটে দেবী দুর্গার।
মন্দিরে মন্দিরে উচ্চারিত হয় ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা, নমস্ত্যৈ নমস্ত্যৈ নমস্ত্যৈ নমঃ নমঃ’। ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই পূজারীরা দুর্গা মায়ের আগমন ধ্বনি শুনতে পান। মায়ের আগমনে চারদিকে আনন্দ আয়োজন সম্পন্ন করার তাড়া। খুশির আনন্দ ছুঁয়ে যাচ্ছে ঘরে ঘরে।
শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়ার ১৪৯টি মন্ডপে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিভিন্ন পদক্ষেপে। ২১সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমীরন অাচার্য্য (পন্ডিত) জানান, বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর গেল মঙ্গলবার শুভ মহালয়া, ২৫ সেপ্টেম্বর শ্রী পঞ্চমী তিথিতে সায়ংকালে দেবীর বোধন, ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীবিহিত পূজা, ২৭সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমীবিহিত পূজা, ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমী বিহিত পূজা, ২৯ সেপ্টেম্বর মহানবমীবিহিত পূজা ও পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর দশমীবিহিত পূজা সমাপনান্তে দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে।
এবার দেবী দূর্গা কৈলাসে তার স্বামীর গৃহে ফিরবেন ঘোড়ায় চড়ে।