মঙ্গলবার ● ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » কুয়াকাটায় আ’লীগ নেতাসহ ৩২ জনের নামে গাড়ি ভাংচুরের মামলা
কুয়াকাটায় আ’লীগ নেতাসহ ৩২ জনের নামে গাড়ি ভাংচুরের মামলা
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (১১ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.০১মি.) কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনন্ত মুখার্জীর অনন্যা মেডিসিন হাউসসহ ছয়টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা-তান্ডব চালানোর ঘটনায় মহিপুর থানায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অনন্ত মুখার্জী এ মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মহিববুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা তান্ডব ও ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়েছে। করা হয়েছে লুটপাট।
এসময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও রডের আঘাতে গুরুতর জখম করেছে অনন্ত মুখার্জীকে। তাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ২০-২২ সশস্ত্র সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলযোগে এসেই দোকানের সামনে নেমে অতর্কিত তান্ডব হামলা চালায়। আহত হয় কুয়াকাটা পৌর যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর সাগর মোল্লা, ভ্যানচালক হানিফ গাজী এবং পথচারীসহ কয়েক দোকানি। পর্যটকরা এসময় হন্যে হয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল অভ্যন্তরের অন্তত ১০টি মোটর সাইকেল, পাঁচটি মাইক্রো-প্রাইভেট কারসহ অন্তত ২৭টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
এ ঘটনার পরপরই কুয়াকাটার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা পর্যটনের মোটেল ইয়ুথ-ইন কমপ্লেক্স ঘেরাও করে রাখে। সেখানে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে পথসভা হয়। পথসভায় বক্তব্য রাখেন লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়।
অনন্ত মুখার্জী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মহিববুর রহমানের নির্দেশে এ হামলা-তান্ডব চালানো হয়েছে। মহিববুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের অনেক আগের কেনা জায়গা। এ জমির সামনের অংশের স্থাপনা সওজ উচ্ছেদ করলে তাঁদের জমি দখলের চেষ্টা করলে তার লোক রশিদ মিয়া বাঁধা দেয়ায় তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছে। মহিববুর রহমান জানান, রাজনৈতিকভাবে তাকে এ ঘটনায় জড়ানোর জন্য মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সবুজ নামের এক ক্যাডারকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এমন তান্ডবে কুয়াকাটার ব্যবসায়ীসহ হোটেল মালিক এবং স্থানীয় বাসীন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতে পটুয়াখালী পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে বলেও ওসি জানান।
এদিকে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সদস্য অনন্ত মুখার্জীর দোকানে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা ও তাকে মারধরের ঘটনায় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার সকালে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রেসক্লাব সভাপতি এ সভায় অনাকাঙ্খিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।