বৃহস্পতিবার ● ৫ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » পায়রা নদীতে জেগেছে স্বপ্নের পায়রা সেতু
পায়রা নদীতে জেগেছে স্বপ্নের পায়রা সেতু
হাসান আলী,পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (২০ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১৫মি.) লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপর জেগে উঠেছে পায়রা সেতু। ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের এ সেতুটি ১৪ মাসে সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে ১৩ ভাগ।
নদীর দুই তীরে দিনরাত ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী-শ্রমিক-কারিগররা।
জানাগেছে, গত বছরের জুলাই মাসে কুয়েত সরকারের আর্থিক সহায়তায় ১ হাজার ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ২৬তম কিলোমিটারে লেবুখালী পয়েন্টে পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দিনরাত কর্মমুখর পায়রা নদীর দুই তীর।
সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকায় খুশির জোয়ার বইছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বাকেরগঞ্জের লেবুখালীর প্রবীণ আসলাম গাজী বলেন, পায়রা নদীতে সেতু হবে- এটা তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে ওই এলাকার মানুষের জীবন-মানের অনেক উন্নতি হয়েছে। বেড়ে গেছে জমির দাম। ১ হাজার ৪৭০ মিটার দীর্ঘ এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রস্থ পায়রা সেতু নির্মিত হচ্ছে পর্যটনের কথা বিবেচনায় রেখে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর আদলে এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল স্টেট পদ্ধতিতে। চারলেনবিশিষ্ট সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের লং জিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার মো. মাসুদুর রহমান জানান, দেশি-বিদেশি শ্রমিক-কারিগর এবং প্রকৌশলী-কর্মকর্তারা দিনরাত কাজ করছেন। সেতুর কাজের মান শতভাগ নিশ্চিত করার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। এখানকার কর্মপরিবেশেও প্রকল্পে কর্মরত বিদেশিরা খুশি বলে তিনি জানান।
পায়রা সেতু প্রকল্পের পরামর্শক আবাসিক প্রকৌশলী মনজিত কুমার সাহা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, রবিবার পর্যন্ত পায়রা সেতুর ১৩ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর উত্তর প্রান্তে ১০টি পিলার দৃশ্যমান হয়েছে। উত্তর পাশে আরও দুটি পিলার নির্মাণের লক্ষ্যে পাইল স্থাপনের কাজ চলছে। কয়েক দিনের মধ্যে উত্তর প্রান্তে মোট ১২টি পিলার দৃশ্যমান হবে।
সেতুর দক্ষিণ প্রান্তেও পাইল স্থাপনের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ডিসেম্বরে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আশা করছেন প্রকৌশলী মনজিত কুমার সাহা।