শুক্রবার ● ১৩ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ফাতেমা অপহরণের স্বীকারোক্তি দিয়েছে ইউপিডিএফের ৩ কর্মী
ফাতেমা অপহরণের স্বীকারোক্তি দিয়েছে ইউপিডিএফের ৩ কর্মী
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (২৮ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.০৩মি.) খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় যাত্রীবাহী বাস থেকে গৃহবধূ ফাতেমা বেগমকে অপহরণের ঘটনায় আটক পাঁচ ইউপিডিএফ কর্মীর মধ্যে ৩জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবান্ধী দিয়েছে। এরা হচ্ছে, কমলা দেবী চাকমা (৫০), চিন্তা রানী চাকমা (৩৫) ও সুশিল চাকমা (২০)।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদের আদালতে তারা এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদত হোসেন টিটু।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর ঈদের ছুটি শেষে স্বামী মো. নাজমুল হোসেন তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে নিয়ে বাসযোগে (বিছমিল্লাহ পরিবহন) কর্মস্থল চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে গুইমারার বাইল্যাছড়ি সাইনবোর্ড এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)‘র ১৫-১৬ জন কর্মী বাসের গতিরোধ করে ও স্বামীর পাশে বসা ফাতেমা বেগমকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এসময় স্বামী মো. নাজমুল হোসেন বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকেও অপহরণের হুমকি দেয়।
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে (০১/১১/২০১২ ইংরেজি) খাগড়াছড়ির পানছড়ির লোগাং বাজার পাড়ার মনতাজ মিয়ার ছেলে মো. নাজমুল হোসেন ভালোবেসে বিয়ে করে বজেন্দ্র মাষ্টার পাড়ার ফলেন্দ্র ত্রিপুরার মেয়ে নয়না ত্রিপুরাকে। বিয়ের পুর্বেই স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নয়না ত্রিপুরা ফাতেমা বেগম নাম ধারণ করে। তারপর থেকেই তারা সুখে-শান্তিতে দাম্পত্য জীবন-যাপন করে আসছে। বিয়ের এক বছরের মধ্যই তাদের কোলজুড়ে আসে এক পুত্রসন্তান।
গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদত হোসেন টিটু জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি ও ১নং রাবার বাগান এলাকা থেকে পাঁচ ইউপিডিএফ কর্মীকে আট করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ইউপিডিএফের কর্মী ও গৃহবধু ফাতেমা বেগমকে অপহরণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে। তবে আদালতে গিয়ে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিয়েছে।