শুক্রবার ● ২০ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » এক মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে : মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান
এক মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে : মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান
পলাশ বড়ুয়া, উখিয়া প্রতিনিধি :: (৫ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৪৮মি.)
রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২লাখ ২৪ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। ৬টি কেন্দ্রে ১০০টি বুথে দৈনিক নিবন্ধন হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ হাজারের মতো রোহিঙ্গা। এই গতিতে এগুলো আগামী এক মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা তথ্য ভান্ডারের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান।
অাজ ২০ অক্টোবর শুক্রবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ছবিযুক্ত এই কার্ডের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সঠিক পরিসংখ্যান রাখা যেমন সম্ভব হবে তেমনি বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ সনাক্তকরণ কার্ড তৈরিতে রোহিঙ্গাদের ঠেকিয়ে দেয়া যাবে।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে এই তথ্যভান্ডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে রেজিষ্ট্রেশন সেন্টার গুলোতে রোহিঙ্গাদের ভীড় বেড়েছে। বেড়েছে রেজিষ্ট্রেশনের গতি। সচেতন রোহিঙ্গারা এই কার্ড সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখলেও অধিকাংশই ভীড় করছে কেবল ত্রাণের আশা।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মাহামুদুল হাসান বলেন, রোহিঙ্গা তথ্যভান্ডার তৈরির কাজ তদারকি করতে কক্সবাজারে উখিয়া ও টেকনাফের ৬টি রোহিঙ্গা নিবন্ধন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজোয়ান।
এসময় তিনি বায়োমেট্টিক নিবন্ধন বিষয়ে রোহিঙ্গা এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করেন এবং খোঁজ খবর নেন। নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরো গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আরো বুথ বাড়ানোর নির্দেশনা দেন তিনি। যে প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলছে তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা তথ্যভান্ডার তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা করেন মহা পরিচালক।
শুরুর দিকে রেজিষ্ট্রেশন কেন্দ্র ও যন্ত্রপাতির সীমাবদ্ধতা থাকলেও এখন এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠেছে। এছাড়া রোহিঙ্গারা ত্রাণের জন্য ছুটাছুটি করলেও বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে অনীহা ছিল। রেজিষ্ট্রেশনে অনেক রোহিঙ্গা নিরুৎসাহিত করেছিল। ক্যাম্পে ক্যাম্পে মাঝিদের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের উদ্ধুব্ধ করার পর নিবন্ধন কার্যক্রমে গতি এসেছে।