রবিবার ● ৫ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » পোশাক শ্রমিককে রাতভর গণধর্ষণ: গাজীপুরে গ্রেফতার ৪
পোশাক শ্রমিককে রাতভর গণধর্ষণ: গাজীপুরে গ্রেফতার ৪
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২১ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.০৬মি.) গাজীপুরে এক পোশাক শ্রমিককে নৌকায় তুলে চারজন মিলে রাতভর ধর্ষণ করে। ধর্ষণের অভিযোগে ৪ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে জয়দেবপুর থানার পুলিশ।
৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাইমাইল এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে এবং রবিবার সকালে ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোপালগঞ্জের মধুপুর এলাকার আহম্মদ আলী মোল্লার ছেলে মনির হোসেন (৩৪), টাঙ্গাইল সদরের কেশমমাইজার গ্রামের আঃ হালিমের ছেলে কাওসার আলী (২০), গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ইটাহাটা এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে আরব আলী (৩২) ও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি থানার বড়তেরছড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (৩০)।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, ভিকটিম মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি তার চাকরি চলে যায়। ভ্যানচালক স্বামী অসুস্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে নতুন চাকরির খোঁজে তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তার বোনের বাড়িতে আসেন। রাতে চৌরাস্তা থেকে অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১০টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইমাইল নামক স্থানে এসে পৌঁছালে চার যুবক জোরপূর্বক রিকশা থেকে তাকে নামায়। সে যেতে না চাইলে যুবকরা তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে ওই এলাকায় বিলের মধ্যে একটি নৌকায় তুলে চারজন মিলে রাতভর ধর্ষণ করে।
শুক্রবার ভোরে তারা ভিকটিমকে ছেড়ে দেয়। ভিকটিম বাড়ি ফিরে তার স্বামীকে ঘটনাটি জানায়। স্বামীর পরামর্শে শনিবার সকালে কোনাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নির্দেশে কোনাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোবারক হেসেন কোনাবাড়ি, বাইমাইলসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে প্রথমে মনির হোসেন ও কাওসার আলীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে রবিবার সকালে মোফাজ্জল হোসেন ও আরব আলীকে কোনাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ইন্সপেক্টর মোবারক হোসেন আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই পোশাক শ্রমিক নিজেই বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।