শনিবার ● ১১ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » মাছ চাষে সফল উদ্যোক্তা লাভলী ইয়াসমিন
মাছ চাষে সফল উদ্যোক্তা লাভলী ইয়াসমিন
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২৭ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা : রাত ৩.১৬মি.) মাছে ভাতে বাঙালি এ প্রবাদ বাক্যটি কোনো এক সময় সত্য হলেও বর্তমান সময় তা অনেকটাই ম্লাান মনে হয়। বর্তমান সময় মাছের কিছু অভাব থাকলেও ভাতের অভাব নেই বাঙালির ঘরে। শষ্য সবুজ এ বাংলাদেশ বর্তমান সময় খাদ্য রপ্তানি করতে পারলেও মাছ উৎপাদনে বাঙালি মাছের চাহিদা পূরণে তেমনভাবে সফল হতে পারেনি বলে অনেকেই মনে করেন। তারপরও থেমে নেই মৎস্য উৎপাদনে সরকারের আন্তরিকতা। মৎস্য উৎপাদনে মৎস্য অধিদপ্তর বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মৎস্য উৎপাদন আর রক্ষণা-বেক্ষণে এগিয়ে আসার জন্যে উৎসাহ জুগিয়েছেন। সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সেই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে চলা একজন মৎস্য চাষী হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের নারী উদ্যোক্তা লাভলী ইয়াসমিন। ২০০১ সালে গ্রামের একটি পুকুর লিজ নিয়ে শুরু করেন রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকার্প মাছের চাষ। প্রথম বছরেই সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেন তিনি। পরের বছর গ্রামের আরও দুটি পুকুর নিয়ে পুর্ণউদ্যোমে শুরু করেন মাছ চাষ। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। বর্তমানে ৮ একর জমিতে তিনি রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকার্প, গ্লাসকার্প, সাদাপুটি, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছেন। বর্তমানে তিনি স্বাবলম্বী। পাশাপাশি তার মৎস্য খামারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে ২০ জন বেকার নারী-পুরুষের। ৩ সন্তানের জননী লাভলী ইয়াসমিনের স্বামী ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বেকার অবস্থায় ছিলেন। ওই সময় ৩ সন্তানের লেখাপড়া করেয়িছেন মৎস্য চাষ থেকে আয়কৃত অর্থ দিয়ে। বর্তমানের তার বড় ছেলে কামরুজ্জামান তানজীব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, ২য় পুত্র রাকিবুজ্জামান তানভীর বিএসসি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও ছোট ছেলে হাসিবুজ্জামান রাহাত ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কমার্স কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। মাছ চাষে সফল এই নারী উদ্যোক্তা ২০১২ সালের ১৩ জুন কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় সরকারি ভাবে মালেশিয়ায় প্রশিক্ষণে অংশ নেন। ১৬ বছরের সংগ্রামী জিবনে লাভলী ইয়াসমিন বর্তমানে মাগুরা ও ঝিনাইদহ শহরের দুটি জমির মালিক। গ্রামে করেছেন পাকা ঘর। তার এই সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন মৎস্য চাষে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তিমির বরণ মন্ডল বলেন, সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে লাভলী ইয়াসমিনকে সকল প্রকার প্রযুক্তিগত সহযোগীতা করা হচ্ছে।