মঙ্গলবার ● ২১ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিধবাকে জোর করে গর্ভপাত
বিধবাকে জোর করে গর্ভপাত
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (৭অগ্রহায়ণ ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১.৪৬মি.) বান্দরবানের লামা পৌরসভার পশ্চিম রাজবাড়ী এলাকায় এক বিধবার ৬ মাসের গর্ভের সন্তানকে জোর করে গর্ভপাত করে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।
অনাকাঙ্খিত গর্ভপাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তখনন হয়ে লামা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে অসহায় ঐ বিধবা নারী। ধর্ষক মো. শহীদুল (২৫) পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড রাজবাড়ী এলাকার মৃত হাকিম আলীর ছেলে। জোর করে সন্তান নষ্ট করার কাজে সহায়তাকারী হিসেবে ছিলেন এলাকার মৃত আবুল ফজল এর ছেলে মো. হোচন (৪২)। ধর্ষক নিজের কু-কর্ম লুকাতে এই কাজ করেছে বলে জানায় ভিকটিম।
ভিকটিমের শাশুড়ি জানান, ১৩ বছর আগে আমার ছেলে মারা যায়। তার ছেলের বউ পৌরসভার রাজবাড়ী এলাকায় ২ ছেলে-মেয়েকে নিয়ে একা বসবাস করে এবং সে সহজ-সরল হাবাগোবা প্রকৃতির মহিলা। ধর্ষক মো. শহীদুল প্রায় সময় ভিকটিমের বাড়িতে যাওয়া আসা করত। গত ১বছর যাবৎ তাদের মধ্যে গোপন সম্পর্ক গড়ে উঠে। ধর্ষক ভিকটিমকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে অনেকবার তার সাথে শারীরিকভাবে মিলিত হয়। এতে করে তার গর্ভে সন্তান আসে। গর্ভের সন্তানের বয়স ৬ মাস। বিষয়টি জানাজানি হবে বলে নিজের অপকর্ম লুকাতে চিকিৎসার কথা বলে গত ১৩ নভেম্বর ভিকটিমকে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলায় নিয়ে জোর করে বনাজী ঔষুদ দিয়ে গর্ভপাত করায়। এতে করে প্রচুর রক্তখনন শুরু হয়। অজ্ঞান ও মুমূর্ষ অবস্থায় এতিম ভিকটিমকে তার সৎ ভাই চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে ভিকটিমের শশুড় বাড়ির লোকজনকে খবর দিলে তারা ভিকটিমকে নিয়ে এসে শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে লামা হাপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালে পড়ে আছে ভিকটিম। তিনি আরো বলেন, বিচার চেয়ে লামা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
কান্নাজড়িত কন্ঠে ভিকটিম সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে জানায়, আমাকে চিকিৎসার কথা বলে চকরিয়া নিয়ে ৬ মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করে মো. শহীদুল ও মো. হোচন। বিয়ে করার কথা বলে সে একাধিকবার আমার শরীর ভোগ করেছে শহীদুল। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয় এবং আমাকে ২ হাজার টাকা দেয়। যেভাবে রক্ত যাচ্ছে আমি মনে হয় বাচঁব না। আমার ২টি ছেলে-মেয়েকে কে দেখবে ?
এবিষয়ে জানতে মো. শহীদুল এর মোবাইলে অনেকবার কল করে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জানিনা। কেউ বিষয়টি থানাকে অবহিত করেনি এবং অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।