মঙ্গলবার ● ১ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শিক্ষার্থীসহ আহত ৩০
বিশ্বনাথে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শিক্ষার্থীসহ আহত ৩০
বিশ্বনাথ(সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে সোমবার বিকেলে শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে ৷ সংঘর্ষে ফজলুল করিম রতন ও জমির আলী পক্ষের অনন্ত ৩০ জন আহত হয়েছেন ৷ গুরুত্বর আহত ১০ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানাগেছে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে ৷ এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ কর ছে৷
জানাগেছে, শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফজলুল করিম ও জমির আলী গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে ৷ গত সোমবার উভয় পৰকে নিয়ে বিদ্যালয়ে সভা করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন ৷ সভা শেষে দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ৷ এসময় উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ৷ প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে অনন্তত ৩০ জন আহত হন ৷
উভয় পক্ষের আহতরা হলেন ইলামেরগাঁও গ্রামের মনির মিয়া (৫০), খোয়াজ আলী (৬০), আজম আলী, (৩৫), জুবেল আহমদ (৩০), সুমন মিয়া (২২), রইছ আলী (৫৫), সালাহউদ্দিন (২৭) আল-আমিন (১৪), ইসলামউদ্দিন (৩০), আছাব আলী (৪০), আব্দুল খালিক (৩৫), আঞ্জব আলী (৪৫), সিরাজ (৪০), মোজাহিদুল ইসলাম (২৬), রফিক মিয়া (২৫)৷ অন্যান্য আহতদের নাম জানাযায়নি ৷
এ ব্যাপারে ফজলুল করিম রতন বলেন, এলাকাবাসীকে না জানিয়ে জমির আলী গোপনে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন ৷ প্রতিবাদে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে নিয়ে সভা করেন ৷ সভা শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে অর্তকিতভাবে হামলা করেন জমির আলীসহ তার লোকজন ৷
জমির আলী বলেন, সভা শেষে বাড়ি আসার পথে আমাদের উপর হামলা করে ফজলুল করিম রতনসহ তার লোকজন ৷ কিছু বুঝে উঠার পূর্বে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে ৷ এতে আমাদের ১০-১২ জন গুরুত্বর আহত হন ৷
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফয়জুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে গতকাল তদন্ত ছিল তদন্ত শেষে শিক্ষা কর্মকর্তা ও আমি বাড়িতে চলে যাই ৷ কি কারণে দুপক্ষ মারামারি করে সে বিষয়ে তিনি জানেন না বলে জানান ৷
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক) সোলায়মান হোসেন বলেন, তদন্ত শেষ করে আমি চলে আসি ৷ পরে কি নিয়ে দুপক্ষ মারামারি করে এ বিষয়ে আমার জানানেই ৷
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে ৷