শুক্রবার ● ১ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পার্বত্য চুক্তিতে বৈষম্যমূলক কিছু ধারার মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার বাঙালীদের বঞ্চিত করা হয়েছে : সাবেক মেয়র
পার্বত্য চুক্তিতে বৈষম্যমূলক কিছু ধারার মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার বাঙালীদের বঞ্চিত করা হয়েছে : সাবেক মেয়র
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের জেলা কার্যালয় উদ্ধোধন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ও পার্বত্য চুক্তির বৈষম্যমূলক অসাংবিধানিক ধারা বাতিলের দাবীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি পৌরসভা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফিতা কেটে ও কেক কেটে জেলা অফিস উদ্ধোধন করেন রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এনায়ুতুল্লাহ্, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, পার্বত্য শ্রমিক পরিষদের সভাপতি মো. রাসেল ইসলাম সাগর, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মুমিন ও কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মান্নান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন পার্বত্য চুক্তিতে বৈষম্যমূলক কিছু ধারার মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার বাঙালীদের বঞ্চিত করা হয়েছে, পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি আনতে হলে সব পক্ষকে নিয়েই শান্তি আনতে হবে।
এসময় বক্তরা বলেন, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাহাড়ের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলে আসছে, অন্যায়ভাবে সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রতিটি নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভাবে প্রতিবাদ করে আসছে।
পার্বত্য চট্রগ্রামের আধিকারহারা জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের দাবীতে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে যদিও পাহাড়ে কিছুটা শান্তি এসেছে তবুও পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ব্যাবহার চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি।
চুক্তিতে যারা পাহাড়ে উপজাতীয়দের প্রতিনিধি হিসেবে শান্তি আনার পক্ষে স্বাক্ষর করেছিলো, তারাই আজ চুক্তি বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় বাধা।
তারা এখনো অস্ত্রের ব্যাবহার বন্ধ করেনি চাঁদাবাজি বন্ধ করেনি তারা পাহাড়ে এখনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে পার্বত্য চট্রগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করছে।
পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ পার্বত্য নাগরিক পরিষদ পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার জন্য কথা বলছে, সকল সম্প্রদায়কে নিয়ে মিলে মিশে শান্তির পাহাড় গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ।