রবিবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পার্বত্য এলাকার জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান শীর্ষক মহালছড়ি সেনাজোনে মতবিনিময়
পার্বত্য এলাকার জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান শীর্ষক মহালছড়ি সেনাজোনে মতবিনিময়
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: (১৯ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩৫মি.) খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি সেনাজোন সদরে জোনের আওতাধীন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন পেশাজীবি, হেডম্যান, কার্বারী, শিক্ষক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে ‘পার্বত্য এলাকার জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ডিসেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মহালছড়ি সেনা জোন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মহালছড়ি জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মুহাম্মদ মোসতাক আহাম্মদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ২০৩ পদাতিক ডিভিশন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন এর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা , মহালছড়ি জোনের জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মনজুর-ই- এলাহী, পিএসসি, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন এর জিটুআই মেজর মো. নাজমুস সালেহীন সৌরভ, মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না নাসরিন ঊর্মি, ৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এএসপি মো. রফিকুল ইসলাম, মহালছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ক্যাচিংমিং চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাকলি খীসা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুইথি কার্বারী, মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জুবাইরুল হক, শিক্ষানুরাগী মো. শাজাহান পাটোয়ারি, মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান, রতন কুমার শীল, মুবাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বাপ্পী খীসা ও ক্যাংঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চাকমা প্রমূখ।
এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অক্ষুন্ন রেখে সকল ধর্মাবলম্বী তথা পার্বত্য এলাকার বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহবস্থান এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন।
তিনি আরো শান্তি, সম্প্রীতি বজায় রেখে এলাকার উন্নয়নের জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার এবং প্রত্যেকটি কাজের জন্য একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রেখে সকল ধরনের উন্নয়ন কাজের ধারা বজায় রাখার আহ্বান জানান। সেনাবাহিনী নিরাপত্তার পাশাপাশি বিগত সময়ের ধারাবাহিকতায় আগামী দিনেও পাহাড়ী-বাঙ্গালী নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের ভাগ্যোন্নয়নে এখানকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।