মঙ্গলবার ● ৫ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » উখিয়ায় পিএসসি পরীক্ষার ৪টি খাতা উদ্ধার
উখিয়ায় পিএসসি পরীক্ষার ৪টি খাতা উদ্ধার
উখিয়া প্রতিনিধি :: (২১ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.৫৫মি.) কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের চোয়াংখালী থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষার ৪টি খাতা পাওয়া গেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার খাতা নিয়ে এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল।
৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) একরামুল সিদ্দিক ঘটনাস্থল থেকে ৪টি খাতা উদ্ধার করার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ৩জন শিক্ষকসহ উদ্ধারকারীর সাথে কথা বলেছি। ঘটনাটি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি এবং শিক্ষকদের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন। খাতা গুলো যে দিন হারিয়ে যায় ওই দিনই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করা হয় বলেও তিনি জানান।
জানা যায়, চোয়াংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুহিবল্লাহ খাতাগুলো মূল্যায়নের জন্য নিয়ে এসে অষ্টম শ্রেণী পাশ করার এক মেয়েকে মূল্যায়ন করতে দিলে খাতা গুলো হারিয়ে যায়। স্থানীয় যুবক খাতা জব্দের বিষয়ে মোহাম্মদ আয়ুব জানান, শনিবার রাতে স্থানীয় নজির আহম্মদের কন্যা তসলিমা প্রায় ৪০টি খাতা মূল্যায়ন করছিল। বিষয়টি তার ভাই বেলাল দেখতে পেয়ে খাতাগুলো জব্দ করে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে জানানো হয়।
শিক্ষক মুহিবল্লাহ প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে সহকারী কমিশনার ভুমি উখিয়া ৪টি খাতা উদ্ধার করেছে। তবে পাশাপাশি খাতা মূল্যায়নের সময় অন্য একজন শিক্ষক খাতা গুলো সরিয়ে নেয় বলে তিনি জানান। খাতা মূল্যায়নকারী অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তসলিমার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চোয়াংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহিবুল্লাহ উপজেলা থেকে মূল্যায়নের জন্য খাতাগুলো নিয়ে যায়। কিন্তু নিজে সে খাতা মূল্যায়ন না করে স্থানীয় অষ্টম শ্রেণী পাশ এক মেয়েকে দিয়ে মূল্যায়ন করছিলেন। এতে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন নিয়েও আশঙ্কা করছে অনেকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শুভ্রত কুমার ধর ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান বলেন, পিএসসি পরিক্ষার খাতার খবর পেয়ে আমি সহকারি কমিশনার (ভূমি)কে পাঠিয়েছিলাম। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।