বৃহস্পতিবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » পাবনা » দীর্ঘ পঁয়তাল্লিশ বছরের স্বপ্ন পুরণ
দীর্ঘ পঁয়তাল্লিশ বছরের স্বপ্ন পুরণ
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (৩০ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.২৯মি.) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঈশ্বরদী ও পাবনাবাসীর দীর্ঘ পঁয়তাল্লিশ বছরের স্বপ্নের চাহিদা পুরণ ও অপেক্ষার পালা শেষ করলো। ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় পাকশী বিভাগীয় ও রাজশাহী বিভাগীয় কর্মকর্তারা ঈশ্বরদী থেকে মাঝগ্রাম হয়ে পাবনা স্টেশন পর্যন্ত পঁচিশ কিঃমিটার নতুন পথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালিয়ে এসব স্বপ্ন পূরণ করলেন।
ডিজি আমজাদ হোসেন ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলমের নির্দেশনায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ট্রেন চালানো হয়। সকাল দশটায় ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে ৯৬ কিঃমিটার বেগে ছাড়ার পর পাবনা স্টেশনে পৌঁছতে সময় লাগে ত্রিশ মিনিট। মাঝে মাঝগ্রাম স্টেশনে মোনাজাতের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রীসহ রেলওয়ের সকল কর্মকর্তাদের মঙ্গল কামনা করা হয়। ঈশ্বরদী-পাবনার মধ্যে ৪৫ টি গেটসহ রেল লাইনের দু’পাশে ছোট ছোট জাতীয় পতাকা,বেলুন , বিভিন্ন রঙের ফুল ও মোবাবাইল হাতে হাজার হাজার নারী,পুরুষ ও শিশুদের হাততুলে স্বপ্নের নতুন ট্রেনের যাত্রী ও কর্মকর্তাদের অভিবাদন জানায়। ট্রেনটি পাবনা স্টেশনে পৌঁছার পর পাবনা জেলা প্রশাসক রেখারাণী বালো রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ফুলদিয়ে বরণ করে নেন। পরে স্টেশন বিল্ডিংয়ের দোতলায় পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সুধি সমাবেশ। এতে পাকশীর ডিআরএম অসীম কুমার তালুকদার,প্রকল্পের পিডি মোহাম্মদ সুবক্তগীণ,এসিই কনসাল্টেন্টের টিম লিডার আনোয়ারুল কবীর,সাবেক পিডি শাজাহান আলী,ডিটিও শওকত জামিল মৌহসী বক্তব্য দেন। এ সভায় কর্মকর্তারা বলেন, ঐতিহাসিক বুদ্ধিজীবি দিবসে নতুন ট্রেন চালিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়েতে আরএকটি নতুন ইতহাসের সৃষ্টি করা হলো। পাবনাবাসীর পক্ষ থেকে ঢালারচর হয়ে যমুনা নদীতে সেতু নির্মাণ ও ঢাকার সাথে ঈশ্বরদীর ট্রেন যোগাযোগস্থাপনের জোরদাবি জানানো হয়। বেলা ১১ টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি পুণরায় পাবনা স্টেশন থেকে ছেড়ে দুপুর ১২ টা ২৫ মিনিটে ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছায়। নতুন এ ট্রেনে ১১০ মেঃটন ওজনের ইঞ্জিন(নং-৬৫১৬০) ৮ টি কোচ ব্যবহার করা হয়। ট্রেন পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন মো. শাহ আলম। ভাগ্যবান চালক হিসেবে ট্রেন চালান তৌহিদুল ইসলাম ও এসএম আহসান আলী। উল্লৈখ্য,১৯৭২-৭৩ সালে তৎকালিন বঙ্গবন্ধু সরকার ঈশ্বরদী-নগরবাড়ী রেললাইনের কাজ শুরু করেন। পাবনার কতিপয় বাস মালিকের বিরোধীতায় ১৯৭৫ সালে প্রকল্পটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়। সময় ও প্রয়োজনের তাগিদে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুণরায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়।