মঙ্গলবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » অপরাধ দমনে দলমত নির্বিশেষে স্বোচ্ছার হোন : সাঈদ তারিকুল হাসান
অপরাধ দমনে দলমত নির্বিশেষে স্বোচ্ছার হোন : সাঈদ তারিকুল হাসান
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১২ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.১৫মি.) অপরাধ দমনে দলমত নির্বিশেষে সকলকে স্বোচ্ছার হওয়ার আহবান জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান। তিনি বলেন, যে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে আতংকিত না হয়ে সবাইকে একতাবদ্ধ ভাবে অপরাধিদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। অপরাধীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ এবং হুমকি ধমকির ভয়ে নিরব না থেকে অভিযোগ দায়ের করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে যদি কোন হুমকি ধমকির শিকার হয় প্রয়োজন হলে নিরাপত্তাহীন এলাকায় ঘরেঘরে গিয়ে পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন অপরাধির বিরুদ্ধে কথা বলা প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি আজ ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সাল এবং ডিসেম্বর মাসে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় শান্তি শৃংখলা বজায় রেখে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় অপরাধ দমনে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা ও বিজয়ের মাসে জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিনে সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ সফলভাবে কাজ করছে, এবং তা অব্যাহত থাকবে।
এসময় তিনি ডিসেম্বর মাসে বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে ৫ ডিসেম্বর জুরাছড়ির অরবিন্দ চাকমা হত্যাকন্ডে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে এবং ৫ জনকে আটক করা হয়েছে, নানিয়ারচরে সাবেক ইউপি সদস্য অনাদি রঞ্জন চাকমা হত্যাকান্ডে মামলা হয়েছে একই দিনে বিলাইছড়ির যুবলীগ নেতা রাসেল মারমার উপর হামলার ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৬জন আসামীকে আটক করা হয়েছে, ৫ ডিসেম্বর রাতে মহিলা আ’লীগ নেত্রী ঝর্ণা খীসার উপর হামলায় ৭ জন আসামীকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামীদের ধরতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান । এছাড়া ১ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তির দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্স ও রাঙামাটি ষ্টেডিয়ামে ১৬ হাজার দর্শক নিয়ে সফল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তির বর্ষপুর্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সমাবেশ এবং ১৫ ডিসেম্বর নৌকা বাইচ সহ ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সফল তৎপরতা ছিল এবং কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
১২ ডিসেম্বর জুরাছড়িতে নৌ চলাচল বন্ধ হলে পুলিশ প্রহরায় নৌ চলাচল চালু করা হয়। বর্তমানে নৌ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ২০ ডিসেম্বর ২০ জনকে অপহরনের গুজব প্রিন্ট পত্রিকায় ও ইলেট্রনিক মিডিয়াতে আসলেও তার কোন ভিত্তি নেই। ২০ জন লোক সকলেই নিজ নিজ বাসায় স্বাভাবিক জীবণ যাপন করছেন। যদিও এ বিষয়ে কোন জিডি বা মামলা হয়নি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার শৃংখলা বজায় রাখতে সর্বোপরি শান্তি অব্যাহত রাখতে অপরাধ দমনে পুলিশকে তথ্যর মাধ্যমে সহযোগিতার জন্য সাংবাদিকদের তিনি আহবান জানান।
এসময় জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিক সরোয়ার(অপরাধ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন ছিদ্দিকী (ডিএসবি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ. জাহাঙ্গির হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইউছুপ পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার মান্না দে, রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সত্যজিত বড়ুয়া এবং জেলায় কর্মরত অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার ৩০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পাহাড়ে গুম, খুনের প্রতিবাদে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে আগামী ২৮ ডিসেম্বর রাঙামাটি জেলা নাগরিক কমিটির ব্যানারে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।