বুধবার ● ১০ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » নওগাঁ » আত্রাইয়ে অরক্ষিত রেলক্রসিং যেন মৃত্যুফাঁদ
আত্রাইয়ে অরক্ষিত রেলক্রসিং যেন মৃত্যুফাঁদ
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: (২৭ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.১১মি.) অবাক হলেও সত্য দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও নওগাঁর আত্রাইয়ে আজও নির্মাণ করা হয়নি দীর্ঘ দিনের ৩টি অরক্ষিত রেলগেটের কোন গেট। এমনকি আজও কোন স্থায়ী গেটম্যান নিয়োগ করেনি রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় এই সড়কগুলো দিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, জনগুরুত্বপূর্ণ এই রেলগেটগুলো আজও অনুমোদন দেননি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, আত্রাই রেল ব্রিজের দক্ষিণ পার্শে একটি, আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের উত্তরে একটি এবং উপজেলার শাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশনের উত্তরে একটি রেলক্রসিং রয়েছে। এই তিনটি রেলক্রসিংই অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এসব রেলক্রসিং রেলওয়ের অনুমোদিত না হওয়ায় রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে স্থায়ী গেট মির্মাাণেরও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এদিকে এসব রেলক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন শতশত ট্রাক, ট্রলি, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল করে থাকে। অসাবধানতা অবলম্বনে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা। নামমাত্র বাঁশের অস্থায়ী গেট নির্মাণ করে সেখানে লোক নিয়োগ দেয়া থাকলেও তাদেরকে কোন বেতন ভাতা দেয়া হয় না। ফলে তাদেরকে পরিবার পরিজনকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।
এ ব্যাপারে আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের উত্তর পার্শের গেটম্যান আনসার আলী বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে এখানে রোদ্র বৃষ্টি উপেক্ষা করে দীর্ঘদিনে থেকে গেটম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমাদের কোন বেতন ভাতা দেয়া হয় না। যেসব যানবাহন পারাপার হয় তাদের কাছ থেকে দু’ এক টাকা করে পরিবার নিয়ে কোনমতে জীবন ধারণ করি।
নাটোর উপজেলার সিএনজি চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সিএসজি নিয়ে রেলগেট অতিক্রম করলে ৫ টাকা করে দিতে হয়। এভাবে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দিতেই অনেক সময় টাকা ফুরিয়ে যায়।
আত্রাই রেলস্টেশনের দক্ষিণ পার্শ্বের গেটম্যান মো. জানবক্স জানান, আমাদের আত্রাইয়ের অরক্ষিত রেলগেটগুলোর সরকারিভাবে গেটম্যান নিয়োগ দেয়ার দায়িত্ব পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের। এসব রেলগেট দীর্ঘ দিনের হওয়া সত্বেও আজও আমাদের স্থায়ি নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ গেট দিয়ে পারাপারের গাড়ি থেকে সামান্য যে টাকা পায় ত্ াদিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
আহসানগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টার ছাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রেলের গেটম্যান নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় অরক্ষিত গেটগুলোয় গেটম্যান নিয়োগ দিতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে গেটম্যান নিয়োগ দেয়া হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে বলে তিনি মনেকরেন। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি পশ্চিমাঞ্চল রেলের উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।