বৃহস্পতিবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে নদী থেকে পিলারে বাঁধা লাশের কংকাল উদ্ধার
বিশ্বনাথে নদী থেকে পিলারে বাঁধা লাশের কংকাল উদ্ধার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি::সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের নদী (কাটা গাং) থেকে পাকা পিলারের সাথে বাঁধা অবস্থায় একটি লাশের কংকাল উদ্ধার করেছে জেলেরা৷ খবর পেয়ে ৩ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে ৷ এদিকে, এলাকাবাসী ধারণা করছেন কবর থেকে নিখোঁজ হওয়া নিহত আব্দুল মনায়ের লাশ হয়তো এটি ৷
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে মাছ ধরতে জেলেরা নদীতে জাল ফেললে জালের মধ্যে একটি পাকা পিলারের সাধে বাঁধা অবস্থায় লাশের কংকাল দেখতে পান৷ এরপর লাশটি তারা নদীর তীরে রাখলে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়৷ লাশটি দেখতে নদীর পাড়ে ভিড় জমান সাধারন মানুষ৷ কংকালটির অবস্থা দেখে মনে হয়েছে এটি ময়না তদন্ত করা কোন মানুষের লাশ৷ তবে এলাকাবাসীর ধারনা নদীর পার্শ্ববর্তি হরিপুর গ্রামের নিহত আব্দুল মানাফের লাশ কবর থেকে গুম করে নদীতেই ফেলা হয়েছে ৷ আর এই লাশটিও মনাফের হতে পারে৷
বিশ্বনাথ থানাও এসআই তুফাজ্জল হোসেন সাংবাদিক কে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত জবান আলীর পুত্র আব্দুল মনাফ (৫৫) গত ১৬ মে বিকেল থেকে নিখোঁজ হন৷ এরপর ১৮ মে সন্ধ্যায় বাদীর বসত ঘরের সম্মুখের গোয়াল ঘর থেকে ঘরের পিলারের সাথে ঝুলানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়৷ ময়না তদন্ত শেষে ১৯ মে লাশ দাফন করা হয়৷ আব্দুল মনাফকে হত্যার অভিযোগে ৬ জনকে আসামী করে মনাফের ভাই আব্দুল হাশিম আদালতে মামলা দায়ের করেন৷ বাদি লাশটি পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করলে লাশ দাফনের ২ মাস ১৩ দিন পর আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়না তদন্তে জন্য গত ৪ আগস্ট সকালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুহেল মাহমুদ ও সিলেটের সিভিল সার্জন ডাঃ মো. হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে নিহত মনাফের কবর খোঁড়া হয় ৷ কবর খোঁড়ার পর কবরে লাশের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি৷ কবরে লাশের পরিবর্তে পাওয়া যায় কাফনের কাপড়, নীল রংয়ের পলিথিন ও প্লাস্টিকের সুতলি৷ গত ১০ আগস্ট সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-২ নজরুল ইসলাম আসামী উস্তার আলী ও তার ছেলে মিন্টু মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন৷ এরপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর মামলার প্রধান আসামী টিটু মিয়াকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ৷ গ্রেফতারকৃত ৩জন বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে ৷ মামলাটি বর্তমানে সিআইডি’তে তদন্তাধিন রয়েছে ৷