সোমবার ● ২২ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে ইজিবাইক চালক হত্যার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে ৭ জনের কারাদন্ড
গাজীপুরে ইজিবাইক চালক হত্যার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে ৭ জনের কারাদন্ড
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৯ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১৪মি.) গাজীপুরের কালীগঞ্জে তিন বছর আগে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চালক আব্দুল হামিদকে হত্যার দায়ে বাবা-ছেলেসহ সাত জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক জনাকীর্ণ আদালতে ওই রায় দেন।
দন্ডিতদের মধ্যে গাজীপুরের কালীগঞ্জের বড়নগর গ্রামের মোঃ আঙ্গুর খানের ছেলে মোঃ মাসুমকে (২৮) একটি ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। অপর ধারায় মাসুমসহ তার বাবা আঙ্গুর খান (৫০), মাসুমের বড়ভাই সুমন (২৫) ও ছোট ভাই মোঃ রজন (২২), একই এলাকার আকবর আলী (৫৪) ও তার ছেলে মোঃ হৃদয় (২০) এবং নজরুল ইসলামের ছেলে মজিবুর রহমান ওরফে মজিব ওরফে মজিবুল হককে (২৪) পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং দুই হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক মাস করে সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
গাজীপুর আদালতের পিপি এডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহম্মদ মামলার বরাত দিয়ে জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার চান্দাইয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল হামিদ ও একই এলাকার আঙ্গুর খানের ছেলে মাসুম পৃথক ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালাত। গত ২০১৫ সালের ৮মার্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় একটি রাস্তায় আব্দুল হামিদের ইজিবাইককে পেছন থেকে আঙ্গুর খানের ইজিবাইকটি ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে হামিদ এবং আঙ্গুরের মধ্যে বিবাদ ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার পরে হামিদ কয়েকজনকে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য আঙ্গুরের বাড়ির সামনের রাস্তায় গেলে আঙ্গুর তার লোকজন নিয়ে রড ও লাঠিসোটা দিয়ে হামিদের উপর হামলা চালায়। এসময় মাসুম লোহার হ্যামার দিয়ে হামিদের মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। হামলাকারীরা হামিদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত হামিদকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার ধানমন্ডি জেনারেল ও কিডনী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ মার্চ রাত ৮টার দিকে হামিদ মারা যায়। এঘটনায় পরদিন নিহতের স্ত্রী মোসাঃ আউলিয়া বেগম বাদি হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে কালীগঞ্জ থানার এস আই তরিকুল ইসলাম দীর্ঘ তদন্তের পর সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ এবং শুনানী শেষে আদালত আসামীদের দোষী সাব্যস্ত করে সোমবার ওই দন্ড দেন। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি এডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মোঃ হুমায়ুন কবির ও এডভোকেট মোঃ কাউসার সিকদার।