বুধবার ● ২৪ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » ঢাকা » আবাধ, সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নিবার্চন হলে আ’লীগ ৩০-৪০ টার বেশি সিট পাবে না : ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন
আবাধ, সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নিবার্চন হলে আ’লীগ ৩০-৪০ টার বেশি সিট পাবে না : ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন
ঢাকা প্রতিনিধি :: (১১ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০০মি.) মেজর জিয়া স্বৈরাচারকে ধ্বংস করে এদেশের মাটিতে বহু দলীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দাবী করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন,আওয়ামী লীগ শহীদ রাষ্টপতি মেজর জিয়ার গুনাবলীকে ভয় পায়। তাই খালেদা জিয়াকে আদালতের বারান্দায় বার বার ঘুরাচ্ছেন। জিয়া পরিবারকে হেয় করছেন। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পর্যন্ত হামলা-মামলা দিচ্ছে।
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র : শহীদ জিয়াউর রহমান ও আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশারফ বলেন, আ’লীগের ধর্ম হল গণতন্ত্রকে হত্যা করা। এর আগে আ’লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার তারা স্বৈরাচারী ও জোরপূর্বক ভাবে ক্ষমতাকে ধরে রাখতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলার জনগণ সুযোগ পেলে তারা জাতীয়তাবাদি শক্তিকে ভোট দেয়। এবার ও সুষ্ঠ নিবার্চন হলে তারা জাতীয়তাবাদি শক্তিকে ভোট দিবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে। সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। ৫ জানুয়ারি জাতীয় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে জনগণের ভোটের প্রতি যে অনীহা-অনাস্থা তৈরি হয়েছে, সেই আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনীকে নির্দিষ্ট দিনের জন্য মোতায়েন করতে হবে। আমাদের নেত্রী আরও বলেছেন যে, নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা তিনি দেবেন। এটা আমি এখনো বলছি যে, আমরা প্রস্তুত।
ড. মোশারফ বলেন, দেশের আসল অবস্থা সরকার জানে। আগামী নিবার্চন যদি আবাধ, সুষ্ট ও নিরপেক্ষ হলে আ’লীগ ৩০-৪০ টার বেশি সিট পাবে না। তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত রিপোর্টে এসেছে যে, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ৩০-৪০ এর বেশি আসন পাবে না। সংস্থাগুলো এও বলেছে যে, দিন যতই যাবে, এই সংখ্যা তত কমতে থাকবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে ও সহকারী মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদের পরিচালনায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র অন্যতম ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা: আব্দুল কুদ্দুস, জিয়া পরিষদের মহাসচিব ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড: মো. এমতাজ হোসেন, জিয়া পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড: মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলাম, দেওয়ান মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম- মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, প্রকৌশলী রুহুল আলম ও সহকারী মহাসচিব শহীদুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ।