শনিবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » ঝালকাঠিতে কুল চাষে খুশি চাষিরা
ঝালকাঠিতে কুল চাষে খুশি চাষিরা
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: (২১ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১২.৪৫মি.) ঝালকাঠিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে কুল বরই চাষ। অল্প পুজি ও ঝুঁকি কম থাকায় কুল বরই চাষে দিন দিন আগ্রহ প্রকাশ করেছে চাষিরা।
বাড়ির আঙ্গিনা ও জমির কান্দিতে পরিক্ষা মুলক ভাবে কুল চাষে সফলতা পাওয়ার পরে অনেকেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদ শুরু করেছে।
পতিত জমিতে কুল বরই এর চাষ করে সফল হয়েছেনে ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের রনমতি গ্রামের শিক্ষিত যুবক মো. জহিরুল ইসলাম।
ঝালকাঠি জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে ভেটেনারি কম্পাউন্ডার পদে কর্মরত রয়েছেন তিনি। চাকুরির পাশা পাশি বারতি আয় ও স্থানীয়দের ফরমালিন মুক্ত ফল খাওয়ানোর লক্ষে কুল বরই এর বাগান গড়ে তুলেছেন তিনি।
নিজেদের ৬৩ শতাংশ পতিত জমির জঙ্গল পরিস্কার করে কুল চাষের উপযোগী করে তোলেন। সাতক্ষীরা জেলা থেকে বাউ কুল , আপেল কুল ও নারিকেল কুলের চারা এনে বাগানে রোপন করেন।
মাত্র এক বছরেই এই বাগানের বরই কাছে বাম্পার ফলন ধরেছে। বরই এর ভারে নুয়ে পরছে গাছ। এখানকার বরই এর সাইজ রড় ও সুস্বাধু হওয়ায় এর ব্যপক চাহিদা রয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে বরই কিনে নিচ্ছেন।
এখানের নারিকেল ও আপেল কুল ৯০ টাকা এবং বাউ কুল ৬০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। নারিকেল ও আপেল কুল ১২০ টাকা এবং বাউ কুল ৮০ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
এই বাড়ানে জমি তৈরি সহ অন্যান্য খরচ বাবদ ১৩৪ টি বরই গাছ লাগাতে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাগানে প্রতিদিন চার জন শ্রমিক কাজ করেন।
মো. সাইদুল ইসলাম বলেন,‘ বাগান তৈরি থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমি এখানে কাজ করছি। বরই পাড়া থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়।
এবছর ফলন ভাল হওয়ায় খচর ওঠে কিছু লাভ থাকবে জানিয়েছেন কুল চাষি মো. জহিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন,‘ কুল বরই চাষ অত্যান্ত লাভ জনক। কম খরচে এখানে অধিক লাভ করা যায়। তাছারা কুল বরই চাষে তেমন কোন ঝুঁকি নেয়। স্থানীয়দের বিষ মুক্ত ফল খাওনোর লক্ষ নিয়ে আমি কুল বরই এর চাষ শুরু করেছি। কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা পেলে আগামীতে ব্যাপক ভাবে কুল বরই এর চাষ করব।
বরই চাষে মো. জহিরুল ইসলামে সফলতা দেখে এখানকার অন্যরাও কুল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কামাল মৃধা ।
ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ আবু বক্কর সিদ্দিকি বলেন, এখানকার মাটি কুল বরই চাষের উপযোগী। কেউ যদি কুল বরই চাষে এগিয়ে আসে তা হলে কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে।