শনিবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » সফল এক জুম্ম নারীর নাম রিনা চাকমা
সফল এক জুম্ম নারীর নাম রিনা চাকমা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২১ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৪৮মি.) রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের মগপাড়া গ্রামের রিনা চাকমা কৃষি ও সমাজ উন্নয়নের সফল এক জুম্ম নারী। বিয়ের পর বাপের বাড়িতে থেকে যান। সেখানে পাড়াকেন্দ্রে পাড়াকর্মী হিসেবে নিয়োগ পান এবং এখনো পাড়াকেন্দ্রে সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। গ্রামে বসে না থেকে তিনি বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজ করতে থাকেন। তার বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ দেখে গ্রামের লোক জন তাকে মহিলা কার্বারী হিসেবে মনোনীত করে এবং এলাকাবাসীর সহযোগীতায় চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় তাকে বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের মহিলা কার্বারী হিসেবে নিয়োগ দেন।
তার স্বামী বিজয় চাকমা এক জন সরকারি পুলিশ কনষ্টবল হিসেবে দেশের জনগনের সেবা করে যাচ্ছেন। রিনা চাকমা পরিবেশবান্ধব ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে মগপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে মাশরুম চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। সে সঙ্গে তিনি সমাজ উন্নয়ন কাজ সহ বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধ কাজে এলাকায় পরামরশ দিয়ে থাকেন। প্রতিবছরই তার উল্লেখিত কার্যক্রমগুলো গ্রামে প্রসার লাভ করতে থাকে। প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য তার মনবল আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তার এসব সফলতার পিছনে তার বাবা-মা’র অবদান রয়েছে জানান রিনা চাকমা।
বাড়িতে বড় মেয়ে হিসেবে রিনা চাকমার আরো এক বোন ও দু’ভাই রয়েছে। এক বোন গ্রামের বাড়িতে থাকে দু’ভাই রাঙামাটি শহরে থাকে। তার এক মাত্র ছেলেও লেখাপড়ার জন্য শহরে থাকে।
রিনা চাকমা’র প্রচেষ্টায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বদলে যাচ্ছে মগপাড়া এলাকার অনেক নারী-পুরুষ। তিনি পরিবেশ বান্ধব ফসল ও মাশরুম চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন।
মগপাড়া এলাকায় বহু নারী-পুরুষ তার পরামর্শ ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মাশরুম চাষ করেছেন। এ ক্ষেত্রে রিনা চাকমাকে নারী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী নারী।
এব্যাপারে সফল এক জুম্ম নারী রিনা চাকমা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবছর রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় ও নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করে পরিবেশ বান্ধব মাশরুম চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছি। তিনি আরো বলেন এলকাবাসীরা যদি রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছ থেকে আরো সহযোগীতা পায় তাহলে এলাকায় অনেক বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।